SSC-র দপ্তরে করা যাবে না মিছিল-মিটিং, মামলা গড়াচ্ছে হাইকোর্টে

কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগে লাগামছাড়া অনিয়ম৷ এর প্রতিবাদে স্কুল সার্ভিসের দপ্তর ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ৷ কিন্তু বাধ সাধল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট! পুলিশি বাধা পেয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষক সংগঠনের৷ শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের অভিযোগ, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের মেধা তালিকায় অনিয়ম রয়েছে৷ এর প্রতিবাদে শিক্ষক সংগঠনের তরফে স্কুল

SSC-র দপ্তরে করা যাবে না মিছিল-মিটিং, মামলা গড়াচ্ছে হাইকোর্টে

কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগে লাগামছাড়া অনিয়ম৷ এর প্রতিবাদে স্কুল সার্ভিসের দপ্তর ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ৷ কিন্তু বাধ সাধল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট! পুলিশি বাধা পেয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষক সংগঠনের৷

শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের অভিযোগ, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের মেধা তালিকায় অনিয়ম রয়েছে৷ এর প্রতিবাদে শিক্ষক সংগঠনের তরফে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দপ্তর ঘেরাওয়ের কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু বিধাননগর কমিশনের তরফে অনুমতি চাওয়া হলে তা দেওয়া হয়নি৷ উল্টে, পুলিশের তরফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিধাননগর এলাকায় কোনও মিছিল মিটিং করা যাবে না৷ পুলিশের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করতে চলেছে শিক্ষকদের সংগঠন৷

শিক্ষক সংগঠনের অভিযোগ, গত পয়লা অক্টোবর উচ্চ প্রাথমিকে মেয়ে তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ কিন্তু প্রকাশিত উচ্চ প্রাথমিকের মেধা তালিকায় রয়েছে একাধিক অসংগতি৷ এই নিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে কমিশনের তরফে তা খারিজ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ শিক্ষক সংগঠনের৷ এরই প্রতিবাদে কমিশনের দপ্তর ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়৷ আগামী ১৮ অক্টোবর কমিশনের দপ্তর ঘেরাও করার ডাক দেওয়া হলেও পুলিশি অনুমতি দিতে নারাজ৷ কিন্তু পুলিশ অনুমতি দিতে অস্বীকার করায় এবার মামলা দায়ের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে৷

এই বিষয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মইদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘‘উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা ১৮ অক্টোবর স্কুল সার্ভিস কমিশনের দপ্তর ঘেরাও ও ডেপুটেশন কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলাম৷ অভিযানের জন্য আমরা বিধাননগর পুলিশকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমতি চেয়েছিলাম৷ কিন্তু পুলিশের তরফে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ১৪৪ ধারা জারি আছে৷ ফলে এসএসসির চত্বরে মিছিল-মিটিং করা যাবে না৷ কিন্তু গণতান্ত্রিক দেশে এভাবে কোন আন্দোলন রুখে দেওয়া যায়? ১৪৪ ধারা জারি করে কেন চাকরি প্রার্থীদের নিজের দাবি-দাওয়া তুলে ধরতে দেওয়া হবে না? কেন কমিশনের দপ্তরে ডেপুটেশন দিতে পারবে না তাঁরা? আমরা ডেপুটেশন কর্মসূচি দিলে কি আইন-শৃংখলার অবনতি হবে? আমরা এই বিষয়ে চাকরিপ্রার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আদালতে যাচ্ছি৷ কারণ মিছিল-মিটিং আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার৷ আমরা এটা ছিনিয়ে নেব৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × five =