তমলুক: পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে একগুচ্ছ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ দিঘায় আধুনিক কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধনে গিয়ে দিঘাকে ঘিরে পর্যটন শিল্পের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সন্ধান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷
এদিন উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, ‘‘লক্ষ্মী কখনও হাতছাড়া করতে নেই৷ ঘরের লক্ষী, আমার কাছে টুরিস্ট৷ মনে রাখবেন টুরিস্ট আসলে আপনার ঘরের ছেলে মেয়েদের এম্প্লয়মেন্ট বাড়বে৷ টুরিস্ট আসলে আপনার ব্যবসা বাড়বে৷ টুরিস্ট আসলে আপনার ইনভেস্টমেন্ট বাড়বে৷ টুরিস্ট আসলে আপনার জায়গার লক্ষ্মীশ্রী বাড়বে৷ একটা ছোট্ট ঘটি ভাজা বিক্রি করুন৷ দেখবেন কত টাকা ইনকাম হয়৷ এত টুরিস্ট৷ আমি তো বলছি, ভেজিটেবিল দোকান করুন৷ করুন, না! একটা ভেজিটেবিলের দোকান করুন৷ যান গিয়ে একটা মোমের দোকান করুন৷ কিছু না, একটা কফির দোকান করুন৷ ঝাল মুড়ির দোকান করুন৷ ফুচকার দোকান করুন৷ কত টুরিস্ট কিনতে চাই৷’’
এদিন স্থানীয়দের হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, কোনও পর্যটক এসে যেন না বলে তাঁরা অখুশি৷ কোনও পর্যটককে বিরক্ত করবেন না৷ সুমদ্রের সুন্দর্য নষ্ট করে স্টল যাতে দেওয়া না হয়, তা নিয়েও প্রশাসনকে সতর্ক করেন মমতা৷
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘গত ৮-১০ বছর আগে দিঘায় কী ছিল, আর এখন কী৷ বদলে গেছে দিঘা৷ দিঘা মায়ের প্রকৃতি খুবই ভাল৷ আগামী সাত দিনের মধ্যে মেরিন ড্রাইভ তৈরি হয়েছে৷ দিঘা সমুদ্র থাকবে মন্দির-মসজিদ৷ পর্যটনের সঙ্গে ধর্মীয় স্থানে মেলবন্ধন তৈরি হবে৷’’ বলেন, এখানে যতই পর্যটক আসবে, তত কর্মসংস্থান হবে৷’’
এদিন বিদ্যুৎ ও জল বাঁচানোর ডাক দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বলেন, ‘‘আগামী দিনে পানীয় জলের সংকট হবে৷ পেট্রোলের থেকেও দামি হবে জল৷ তাই জল ধরে রাখতে হবে৷ সেভ ওয়াটার সেভ লাইফ আমাদের কর্মসূচি৷ আগামী দিনে পানীয় জল ধরে রাখাটা আমাদের কর্তব্য৷ একই সঙ্গে আমাদের বিদ্যুৎ বাঁচাতে হবে৷’’