কলকাতা: ফের পার্শ্ব শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ যদিও এবার হুমকির সুরে নয়, ধীরে ধীরে সব হওয়ার বার্তা দিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন শিক্ষামন্ত্রী৷ তুললেন পার্শ্বশিক্ষকদের যোগ্যতার প্রসঙ্গ৷
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শিক্ষকদের সামগ্রিক বিষয়গুলি বিবেচনায় আনা হয়েছে৷ এবং আনা হয়েছে বলেই ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ টাকা আমরা বাড়িয়েছি ২০১৮ সালে৷ তার আগেও আমরা ২০১৪-১৫ সালে তাঁদের ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরির মেয়াদ ও তিন বছর অন্তর ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির বিষয়টিও আমরা করেছি৷ বৃত্তিমূলক শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও তিন বছরে ৫ শতাংশ শহরে বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ এরপর ওঁরা আমাদের কাছে আসে৷ ইপিএফ আওতায় আনা যায় কি না, আমরা তা বিবেচনা করেছি৷ স্বাস্থ্যসাথী আওতায় আনা যায় কি না, আমরা সেটাও দিয়েছি৷ ওদের কিছু ছুটির দাবি ছিল, তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে৷ ওরা ঠিকমতো ক্লাসের সুযোগ-সুবিধা পেত না৷ সেটা আমরা ব্যবস্থা করে দিয়েছি৷’’
শিক্ষামন্ত্রীর আরও দাবি, ‘‘তার পরেও আমরা আমাদের এসএসসিতে যখন পরীক্ষা নেওয়ার হয়, তখন ওঁদের স্থায়ীকরণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দিয়েছি৷ ফলে সংখ্যা কমছে৷ আমরা আরও বেশি ওঁদের স্থায়ীকরণ করা যায়, সমস্ত কিছু চেষ্টা করছি৷’’
পার্শ্ব শিক্ষকদের যোগ্যতা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, ‘‘তার থেকেও বড় কথা হল, ওঁদের মধ্যে বেশির ভাগের এক বছরের প্রশিক্ষণ নেওয়া আছে৷ চাকরি ওঁদের এমনিই চলে যেত, আমি যদি প্রশিক্ষণগুলি না করাতাম৷ সরকার নিজের পয়সায় সবাইকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে৷ সরকার কি চুপ করে বসে আছে নাকি? এটা তো বুঝতে হবে, তাঁদের ধীরে ধীরে সবই হয়ে যাবে৷ যাঁদের যোগ্যতা আছে, NCTE-র যা নিয়ম আছে, সেই নিয়মের মধ্যেই তাঁরা থাকে তাঁদের ধীরে ধীরে করা হবে৷ সবটাই তো একসঙ্গে চাইছে৷ সেটা তো করা সম্ভব হবে না৷’’