সপ্তাহে ১ দিন না এলেই বেতন কাটা সরকারি কর্মচারীদের, জারি নির্দেশিকা

সপ্তাহে ১ দিন না এলেই বেতন কাটা সরকারি কর্মচারীদের, জারি নির্দেশিকা

মুম্বই: কোভিড-১৯ অতিমারির জেরে প্রায় তিন মাসেরও বেশি স্তব্ধ হয়ে পড়েছে কর্মক্ষেত্রগুলি। বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত মানুষের অধিকাংশই কাজ হারিয়েছেন অথবা কাজ না করতে পারায় মাসিক বেতন পাচ্ছেন না। সরকারি কর্মচারীরা অবশ্য মাসিক বেতন পেয়ে যাচ্ছিলেন এতদিন৷ তবে সেই সুদিন আর থাকছে না৷ সরকারি কর্মীদের এবার সপ্তাহে অন্তত একদিন অফিস যেতেই হবে৷ নয়তো তাঁদের বেতন কাটা হবে বলে শুক্রবার জানিয়ে দিল মহারাষ্ট্র সরকার। মহারাষ্ট্র অর্থমন্ত্রকের মুখ্যসচিব মনোজ সৌনিক এক নির্দেশিকা জারি করে একথা জানিয়েছেন।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে জারি হওয়া লকডাউনের মধ্যেই সরকারী কর্মচারীদের সপ্তাহে অন্তত একদিন কর্মস্থলে আসা বাধ্যতামূলক। তা না করলে বেতন কাটা হবে। এই নির্দেশিকা ও রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মীদের জন্যই লাগু হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। অবশ্য যাঁরা অনুমোদিত ছুটিতে অথবা অসুস্থতার কারণে ছুটিতে আছেন তাঁদের বেতন কাটা হবে না বলে জানিয়েছেন মনোজ সৌনিক। বাকিদের ক্ষেত্রে বেতন কাটা তো হবেই, সেই সঙ্গে দফতরের প্রধানের তরফে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রতিটি দফতর থেকে প্রতিটি কর্মীকে নির্দিষ্ট একটি দিন ধার্য করে দেওয়া হয়েছিল। সেই দিনে উপস্থিত না হলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই নির্দেশিকা জারি করার কারণ হিসেবে জানা গেছে, লকডাউনের পিরিয়ডে সরকারী কর্মচারীরা কার্যত অফিসে আসাই বন্ধ করে দিয়েছেন। কর্মিসংখ্যার মাত্র পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ দিয়ে চলছে সরকারি দফতরের কাজকর্ম। এমনকী কেউ কেউ, লকডাউনের সময় নিজের নিজের শহরে ফিরে গিয়েছেন। ফলত, থমকে গিয়েছে কাজ। প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে দেশে সবথেকে ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হয়েছে মহারাষ্ট্রই। দফায় দফায় লকডাউন করার পরেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এমনটা বলা যাবে না। স্বাভাবিক ভাবেই, প্রাণ বাঁচাতে কার্যত ঘরবন্দি হয়ে রয়েছেন ওই রাজ্যের মানুষ। এরই মধ্যে রাজ্য সরকারের এমন নির্দেশিকায় সরকারী চাকুরেরা কী প্রতিক্রিয়া দেন সেটাই এখন দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 5 =