কলকাতা: স্বাধীনতা দিবসে এবার ভাতের লড়াই৷ অন্ন সংস্থানের স্বাধীনতার জন্য অভিনব কর্মসূচি পশ্চিমবঙ্গ অতিথি অধ্যাপক সমিতির পূর্বাঞ্চলীয় শাখার৷
অতিথি অধ্যাপক সমিতির নেতা বিশ্বজিৎ বিশ্বাস জানান, প্রায় এক দশক ধরে অতিথি অধ্যাপকরা বঞ্চিত৷ কোথাও ১০০ থেকে ১৫০ টাকা ক্লাস পিছু বা কোথাও মাসিক ৩ থেকে ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে কলেজে পড়াচ্ছেন অতিথি অধ্যাপকরা৷ সেই সঙ্গে বিভিন্ন কারণে কলেজ ছুটি ও ক্লাস বন্ধ থাকলে কাটা যায় বেতন৷ নেই চাকরির নিশ্চয়তা৷ এই চরম আর্থিক যন্ত্রণা নিয়েই রাজ্যের প্রায় সাড়ে আট হাজার অতিথি অধ্যাপক বারবার রাস্তায় নেমেছে নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য৷ ছুটে গেছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও৷ গিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রীর কাছেও৷ বিকাশ ভবন থেকে নবান্ন, কিছুই বাদ যায়নি৷
এমনকী জেলায় জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর সফর কালীন স্মারকলিপিও দেওয়া হয়৷ তবু কাটেনি বঞ্চনা৷ কিছুদিন আগেই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিকাশ ভবনে বৈঠক করেন সংগঠনের প্রতিনিধি দল৷ পার্থবাবু সংগঠনের নেতৃত্বকে আশ্বাস দেন, জুলাই মাসের মধ্যেই তাঁদের মূল দাবি স্থায়ীকরণ ও সম্মানজনক বেতন নিয়ে সরকার কিছু একটা ঘোষণা করবে৷ শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে আশায় বুক বাঁধানে সাড়ে আট হাজার অতিথি অধ্যাপক৷
অভিযোহ, জুলাই পেরিয়ে আগস্টের মাঝামাঝিতেও পার্থবাবুর তরফ থেকে কোনও সাড়া মেলেনি৷ একদিকে হতাশা আর ক্ষোভ এই নিয়ে দিন কাটাচ্ছে রাজ্যের প্রায় সাড়ে আট হাজার অতিথি অধ্যাপক৷ আর তাই আজ ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসে পার্থবাবুর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তার পোস্ট পড়তেই রাজ্যের বঞ্চিত অতিথি অধ্যাপকরা তাঁদের ‘নুন-ভাতে’র স্বাধীনতা দেওয়ার আবেদন জানান৷