কলকাতা: ভাতা নয়, চাই সরকারি চাকরি৷ এই দাবি তুলে মঙ্গলবার শ্রম দফতরে অভিযান করল রাজ্যের যুবশ্রীরা৷ গত ৭ বছরে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর প্রতিশ্রুতি পালন করেননি বলেই দাবি তাঁদের৷ বাধ্য হয়েই তাঁরা পথে নেমে আন্দোলন করছেন বলে দাবি যুবশ্রীদের৷
আরও পড়ুন- হয় চাকরির নয় জেল! শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন, বাধা পুলিশের
এদিন শিয়ালদহ থেকে মিছিল করে ওয়েলিংটনে এসে উপস্থিত হন বিক্ষুব্ধ যুবশ্রীরা৷ অভিযোগ, ২০১৩ সাল থেকে তাঁদের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়ে আসছে তা বাস্তবে রূপায়িত হয়নি৷ যুবশ্রীর আওতায় থাকা কর্মপ্রার্থীদের এখন তাই একটাই স্লোগান, রেশন-ভাতা নয়, চাকরি চাই৷ বিনা পয়সায় রেশন আর মাসিক দেড় হাজার টাকায় আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সংসার চালানো কার্যত অসম্ভব৷ সামনেই বিধানসভা নির্বাচন৷ এই বঞ্চনার প্রভাব কি ভোট ব্যাঙ্কে পড়বে? এক যুবশ্রীর কথায়, ‘‘দীর্ঘ সাত বছর ধরে আমাদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ আমারা যে ভাতাটা পাই সেটা আসলে উৎসাহ ভাতা৷ সেই সময় বলা হয়েছিল বিভিন্ন ধরনের কোর্স করতে৷ পরবর্তীকালে ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে যোগ্যতা অনুযায়ী বিভিন্ন দফতরে চাকরি দেওয়া হবে৷ আমার দীর্ঘ দিন ধরে নিয়োগের আশায় দিন গুনছি৷ সামনে ২০২১ এর বিধানসভা ভোট৷ তার আগে এই বছরের মধ্যে আমাদের চাকরি দেওয়া না হলে স্বেচ্ছায় মৃত্যু বরণ করব৷ এছাড়া আমাদের সামবে কোনও রাস্তা খোলা নেই৷ মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের আটকানো যাবে না৷’’
আরও পড়ুন- গৃহীত হল না ডেপুটেশন, কালীঘাট থেকে খালি হাতেই ফিরলেন প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীরা
মুখ্যমন্ত্রীর নিজের হাতে তৈরি যুবশ্রী প্রকল্প৷ সরকারের দাবি, এই প্রকল্পের হাত ধরে বহু প্রার্থী চাকরি পেয়েছে৷ কিন্তু প্রার্থীদের পাল্টা দাবি, যুবশ্রী থেকে এত বছরে এক জনেরও চাকরি হয়নি৷ ভোটের আগে মানুষের অভাব অভিযোগ শোনার জন্য ‘দুয়ারে দুয়ারে’ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে৷ তাঁদের দুয়ারে পৌঁছলে কী বলবেন? এর উত্তরে যুবশ্রী প্রার্থীর বক্তব্য, ‘‘প্রতিশ্রুতি মতো আগে চাকরি দিন৷ তার পর আমরা ভোটের কথা ভাবব৷’’ তাঁরা জানান, এক্সচেঞ্জ অফিসের বদলে মুখ্যমন্ত্রী এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক তৈরি করেছিলেন৷ বলা হয়েছিল এখান থেকে শ্রম দফতরের মাধ্যমে ধাপে ধাপে চাকরি দেওয়া হবে৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত একটিও চাকরি দেওয়া হয়নি৷ বিভিন্ন দফতরে চিঠি পাঠিয়েও কোনও সদুত্তর মেলেনি৷ তাই এই প্রতিবাদ৷