নয়াদিল্লি: টিকিট পরীক্ষা ও নিরাপত্তা রক্ষায় এবার বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের নিয়োগ করতে চলেছে রেলমন্ত্রক৷ যাঁদের নাম দেওয়া হচ্ছে স্টেশন মার্শাল৷ যাঁরা প্ল্যাটফর্মে টিকিটহীন লোকজনের অনায়াস গতিবিধি ঠেকাতে আরপিএফ এবং সংশ্লিষ্ট রেল কর্মীদের সহযোগিতা করবেন৷ পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল এবং কলকাতা টার্মিনাল বা চিৎপুর স্টেশন সহ এই তালিকায় নাম রয়েছে দেশের মোট ৪৩টি স্টেশনের৷
রেল জানিয়েছে, টেন্ডার ডেকে এই কাজের ভার কোনও বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে৷ স্টেশনের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই পিপিপি মডেলে ‘ইন্টিগ্রেটেড ফেসিলিটি ম্যানেজমেন্ট’ (আইএফএম) ব্যবস্থা কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলমন্ত্রক৷ জানা গিয়েছে, বেসরকারি সংস্থার কর্মীরাই স্টেশন মার্শালের দায়িত্ব সামলাবেন৷
টেন্ডার ডাকা থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট যাবতীয় প্রক্রিয়া মিটিয়ে ২০১৯ সালের আগস্ট মাসের মধ্যেই কাজ শুরু করে দেওয়া হবে৷ রেলবোর্ডের সদস্য (ইঞ্জিনিয়ারিং) তথা ‘ইন্ডিয়ান রেলওয়ে স্টেশনস ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডে’র (আইআরএসডিসি) চেয়ারম্যান বি চৌবে এবং আইআরএসডিসির এমডি এস কে লোহিয়া বলেছেন, ইতিমধ্যেই পাঁচটি স্টেশনকে চিহ্নিত করে ইন্টিগ্রেটেড ফেসিলিটি ম্যানেজমেন্টের কাজ শুরু হয়েছে৷ সেই স্টেশনগুলি হল বেঙ্গালুরু, পুনে, আনন্দবিহার, চণ্ডীগড় এবং সেকেন্দ্রাবাদ। তবে যাত্রী সুরক্ষায় এভাবে স্টেশনে স্টেশনে মার্শাল নিয়োগের সিদ্ধান্তকে যথেষ্ট অভিনব বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷