কলকাতা: ফের D.EL.Ed পরীক্ষা ঘিরে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তুলে ফের NIOS পরীক্ষার বাতিলের অভিযোগ তুললেন রাজ্যের কয়ের হাজার পরীক্ষার্থী৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরীক্ষা শুরুর আগে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়৷ এর জেরে অনেকেই পরীক্ষা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ৷ বহু পরীক্ষাকেন্দ্রে ঠিকঠাক পরীক্ষা নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ৷
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে D.EL.Ed-এর বাতিল হওয়া দু’টি পেপারের পরীক্ষা শুরুতেই বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে৷ পরীক্ষাকেন্দ্রে অব্যবস্থা ও হয়রানি শিকার শিক্ষকদের একাংশ৷ প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখেন পরীক্ষার্থী শিক্ষকদের একাংশ৷ কোথায় সিট নম্বর নিয়ে বিভ্রান্তি, কোথায় আবার পরীক্ষা কেন্দ্র চূড়ান্ত অচলাবস্থার অভিযোগ৷
জানা গিয়েছে, আজ সকালে NIOS পরীক্ষার আগে হুগলীর হরিপালে পরীক্ষাকেন্দ্রে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷ এই কেন্দ্রে এক হাজার প্রার্থীর সিট পড়লেও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অবস্থার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান পরীক্ষার্থীরা৷ অন্যদিকে, হাওড়ায় মারিয়া ডে স্কুলেও চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হয় পরীক্ষার্থীদের৷ অভিযোগ, সিট নম্বরে বিভ্রাট দেখা দেওয়ায় বিক্ষোভ দেখান পরীক্ষার্থীরা৷ দমদমের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে একই ভাবে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷ জানা গিয়েছে, এদিন পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও হুড়োহুড়ির জন্য অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন৷ স্কুলে পরীক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে ডাকা হয় পুলিশ৷ পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও শুরু করা যায়নি পরীক্ষা৷
শিক্ষকতার জন্য ডিএলইডি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্র৷ গত বছরের শেষে ডিসেম্বর মাসে পরীক্ষা শুরুর আগেই ডিইএলইডি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়৷ দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে দেখা যায়, ডিএলইড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ঘুরছিল মোবাইলে৷ যার জেরে বাতিল করা হয় পরীক্ষা৷ আজ, নতুন বাতিল পরীক্ষার নেওয়া হলেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে আশান্তি৷ প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ ওঠে৷ সূত্রের খবর, রাজ্যজুড়ে পরীক্ষা ঘিরে তৈরি হওয়া অচালবস্থার জেরে সম্ভবত বাতিল হতে চলেছে ডিএলইডি পরীক্ষা৷