শিক্ষক নিয়োগের কথা ঘোষণা হলেও মিলছে না একাধিক প্রশ্নের উত্তর, ধন্দে প্রার্থীরা

কলকাতা: বহু অপেক্ষার পর টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা শোনা যাওয়ার পর স্বস্তি ছিল রাজ্যজুড়ে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগের দিকে অনেকেই তাকিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও একাধিক প্রশ্নের উত্তর পাননি চাকরিপ্রার্থীরা। সোশ্যাল মিডিয়া সম্প্রতি এনিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। কারণ এই প্রক্রিয়া নিয়ে শিক্ষাদপ্তরের তরফে এখনও কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা এসে পৌঁছয়নি। ফলে সমস্ত কিছুই এখন বিশ বাঁও জলে। এই টালমাটাল পরিস্থিতি কাটাতে বিকাশ ভবনে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে একটি সংগঠন। 

কলকাতা: বহু অপেক্ষার পর টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা শোনা যাওয়ার পর স্বস্তি ছিল রাজ্যজুড়ে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগের দিকে অনেকেই তাকিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও একাধিক প্রশ্নের উত্তর পাননি চাকরিপ্রার্থীরা। সোশ্যাল মিডিয়া সম্প্রতি এনিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। কারণ এই প্রক্রিয়া নিয়ে শিক্ষাদপ্তরের তরফে এখনও কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা এসে পৌঁছয়নি। ফলে সমস্ত কিছুই এখন বিশ বাঁও জলে। এই টালমাটাল পরিস্থিতি কাটাতে বিকাশ ভবনে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে একটি সংগঠন। 

পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সহ-সভাপতি সুশান্ত ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, এখনও পর্যন্ত এাই নিশ্চিত নয় যে প্রাইমারি না আপার প্রাইমারি, কোথায় নিয়োগ হবে। ফলে বিভ্রান্তি তো কাটছেই না। উলটে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। গেজেট বিধি মেনে অনুপাতের ভিত্তিতে শূন্যপদে উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার কথাও বলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন সাত বছর ধরে নিয়োগ নিয়ে যে বঞ্চনা চলছে তা থেকে মুক্তি দিক সরকার। প্রাইমারি না আপার প্রাইমারি নিয়োগ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ২০১৫ সালে টেট পাস ঐক্য মঞ্চও। সংগঠনের সদস্য স্বদেশ ঘোষ জানিয়েছেন, নিয়োগের তালিকায় কাদের নাম রয়েছে তা জানতে বিকাশভবনে যাবে মঞ্চের প্রতিনিধিরা। বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানান তাঁরা।

এদিকে টেট সংক্রান্ত বিষয়ে এখন আদালতে প্রায় দুই হাজারের উপর মামলা ঝুলছে যার রায়দান এখনও বাকি। এখনও পর্যন্ত ঠিক রয়েছে যে চলতি মাসে এই রায় দেওয়া হবে। সংগঠনের বক্তব্য, এই অন্তর্বর্তীকালীন পরিস্থিতিতে নিয়োগ ঘিরে একাধিক প্রশ্ন রয়েছে। পাশাপাশি আপার প্রাইমারির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এক বছর আগে সংশ্লিষ্ট বিভাগের পক্ষ থেকে খালি পদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়। সেখানে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজারের মত পদ দেখানো হয়েছে। যদিও এই সংখ্যার থেকে বেশি প্রার্থীর ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে। ঘোষণা করা হয়েছে সাড়ে ১৬ হাজার প্রার্থীকে নিয়োগ করা হবে। সংখ্যার এই তারতম্য নিয়েও প্রশ্ন থাকছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *