কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ যেন কোনও ক্ষেত্র থেকেই বাদ যাচ্ছে না। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দমকল সব জায়গায় এই একই অভিযোগ উঠেছে। মূলত শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে সবথেকে বেশি চর্চা চলছে। এবার মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ উঠল। এই নিয়ে সম্প্রতি মামলা করেছেন আব্দুল হামিদ নামের এক পরীক্ষার্থী। ওএমআর সিট বিকৃত করার অভিযোগ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- বিচারাধীন মামলার মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধ হোক, দাবি মমতার
মামলাকারীর বক্তব্য, ১৭ জানুয়ারি ২০২১ সালে SLST পরীক্ষা হয়। এই পরীক্ষাতেই ওএমআর সিট বিকৃত করার অভিযোগ। দাবি করা হচ্ছে, অরিজিনাল ওএমআর সিট সার্কেল সি বক্স (৭) করা রয়েছে। অন্যান্য বাক্সের যে প্রশ্ন উত্তর রয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণ আলাদা। নির্দিষ্ট একটি বল পেন দিয়ে পড়ে ওএমআর সিটের বক্সের (C) বক্স (৭) ডবল রাইটিং করা হয়েছে বলে অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় ইতিমধ্যেই সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির (সিএফএসএল) ডিরেক্টর এবং ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একই সঙ্গে ওএমআর সিট সিএসএফেল-কে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওএমআর সিট খতিয়ে দেখবে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি। আগামী সেপ্টেম্বরেই প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলে জানান হয়েছে।
এর আগে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগ ছিল, ২০১০ সালের মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগ আইনে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের অগ্রাধিকার থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। ২০১৩-২০১৪ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বঞ্চিত হন তাঁরা। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। বলা হয়, লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা অগ্রাধিকার পাবেন। কিন্তু সেই নিয়ম মানা হয়নি।