কেরল: নানান কৌশল অবলম্বন করে চাকরির পরীক্ষায় নকল করার অভিযোগ প্রায় সংবাদ শিরোনামে আসে৷ কিন্তু, ভিন দেশের নিয়োগ সংস্থার প্রশ্নপত্র হুবহু টুকে চাকরির পরীক্ষায় পশ্নপত্র আকারের তুলে ধরার অভিযোগ কখনও শুনেছেন? হ্যাঁ! এমনই ঘটেছে কেএএস নিয়োগ পরীক্ষায়৷ চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেছে কংগ্রেস৷ অভিযোগ অস্বীকার করেছে নিয়োগের দায়িত্বে থাকা পিএসসি৷
তাদের অভিযোগ, পাকিস্তানের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হুবহু টুকে তৈরি হয়েছে কেরালা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র৷ কংগ্রেসের অভিযোগ, ২০০১ সালের পাকিস্তানের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রশ্নপত্রব হুবহু টুকে কেএএস নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র করা হয়েছে৷ চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস বিধায়ক পিটি টমাস৷ পরে একই অভিযোগে সবর হয়েছেন পরীক্ষার্থীরাও৷
গোটা ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়ে টমাস সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষার ছ’টি প্রশ্ন ২০০১ সালে পাকিস্তানের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র থেকে টোকা হয়েছে৷ যথেষ্ট অর্থ খরচ করে করে কেরল পাবলিক সার্ভিস কমিশন এই ধরনের প্রশ্নপত্র করল? কেন তাদের এই নকল করার অভ্যাস? এর তদন্ত হওয়া উচিত৷
পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের ছ’টি প্রশ্ন ও তার বিকল্প উত্তর পাকিস্তানের সিভিল সার্ভিস কমিশনের পুরনো প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মিল রয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, পিএসসির ওই প্রশ্নপত্রে একটি কোচিং সেন্টারের স্টাডি মেটিরিয়ালের সঙ্গে বেশ কিছুটা মিল রয়েছে৷ ফলে, এই পিছনে বড়সড় দুর্নীতি দেখছেন পড়ুয়াদের একাংশ৷ যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পিএসসির তরফে জানানো হয়েছে, কিছু থিওরি ভিত্তিক প্রশ্নের সাদৃশ্য নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন৷ এই নিয়ে বিতর্ক হতে পারে কিন্তু, থিওরির প্রশ্ন বদল হবে কীভাবে? এই অভিযোগের বাস্তব কোনও ভিত্তি নেই৷