কলকাতা: দীর্ঘ সাত বছর ধরে থমকে রয়েছে সরকারি ও সরকার-পোষিত স্কুলগুলির গ্রন্থাগারিক পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ কয়েক বছরের ব্যবধানে কলেজে গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ করা হলেও স্কুলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্তব্ধ৷ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সঙ্গে এই বিষয়ে একাধিকবার কথা বলেও কোনও লাভ হয়নি৷ মিলেছে শুধু গালভরা প্রতিশ্রুতি৷ তাই বাধ্য হয়েই আন্দোলনের পথে হাঁটলেন গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা৷ শুরু হয়েছে #ProtestFromHome. বর্তমান পরিস্থিতিতে আন্দোলনের হাতিয়ার হিসাবে সোশ্যাল মিডিয়াকেই বেছে নিয়েছেন তাঁরা৷
গ্রন্থাগার চাকরিপ্রার্থীমঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, গত তিন সাড়ে তিন বছর ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন গ্রন্থাগার ও তথ্যবজ্ঞান বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা৷ গত ৭ সাত বছর ধরে কোনও সরকারি ও আধা সরকারি স্কুল কিংবা সাধারণ গ্রন্থাগারগুলিতে কর্মী নিয়োগ হয়নি৷
এই ক’বছরে সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতর থেকে মিলেছে শুধুই প্রতিশ্রুতি৷ ২০১৬ সাল থেকে এসএসসি’র দফতরে ঘুরেও কোনও লাভ হয়নি৷ তাঁরা জানান, শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী, গ্রন্থাগারমন্ত্রী এমনকী রাজ্যপালের কাছেও নিজেদের করুন অবস্থার কথা তাঁরা জানিয়েছে৷ সকলেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে৷ কিন্তু কার্যক্ষেত্রে ফলাফল শূন্য৷ দীর্ঘ অবহেলা সইতে সইতে হতাশ হয়ে পড়েছেন প্রার্থীরা৷ প্রশাসনের ওপরেও বীতশ্রদ্ধ তাঁরা। জানা গিয়েছে, গত এক দশকে বহু প্রার্থীর পরীক্ষার বয়সও পেরিয়ে গিয়েছে৷ স্কুল লাইব্রেরিগুলো বন্ধ, সাধারণ গ্রন্থাগারগুলির অবস্থাও করুন। বহু প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী গ্রন্থাগারগুলিও ধুঁকতে শুরু করেছে৷ অথচ এ বিষয়ে সরকারের কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই বলেই অভিযোগ তাঁদের৷
দীর্ঘ বঞ্চনার পর তাঁদের বক্তব্য, ‘‘অনেক হয়েছে আর নয়। হাজার হাজার পাশ করা ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বরদাস্ত করা হবে না। শীঘ্র নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হলে আগামী দিনে মরণপন আন্দোলনের পথে নামব আমরা৷’’ প্রশাসন চাকরি না দিলে, নিজেদের অধিকারের দাবিতে আমৃত্যু রাজপথে বসবেন বলেও জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ প্রার্থীরা৷ তাঁদের দাবি, স্কুলগুলিতে অবিলম্বে স্থায়ী গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ করতে হবে৷ সাধারণ গ্রন্থাগারগুলিতেও অবিলম্বে গ্রন্থাগারিক ও গ্রন্থাগারকর্মী নিয়োগ করতে হবে।