আলিগড়: হাথরাসের নির্যাতিতাকে নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলনের ঝড়ের মধ্যে উত্তরপ্দেশেই ফের এক ভয়াবহ খবর। আলিগড় জেলায় ধর্ষিতা এক ছবছরের নাবালিকার নয়াদিল্লির এক হাসপাতালে মৃত্যু হল। ১০ দিন আগে ঘটনাটি ঘটে। এক আত্মীয়ের হাতে ধর্ষিতা মেয়েটির শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
মৃত্যুর পর নাবালিকার দেহ আলিগড়ের সদাবাদ বলদেব রোডের ওপর রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। দোষী ব্যক্তি ও নির্লিপ্ত পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে। পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্তা বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। জানা গেছে ওই নির্যাতিতা নাবালিকা আদতে হাথরাসের বাসিন্দা। যে হাথরাস সাম্প্রতিকে দেশের সবচেয়ে আলোচিত এলাকা। মেয়েটির মা মারা যাওয়ার পর তাকে আলিগড়ের ইগলাসে মাসির বাড়িতে এনে রাখা হয়।
সেখানেই সেপ্টেম্বর মাসে এক আত্মীয়ের হাতে ধর্ষিতা হয় নাবালিকা। গুরুতর জখম বালিকাটিকে দিল্লির হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বালিকার মৃত্যুর পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তার পরিজনেরা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আলিগড়। মৃতদেহ ফেলে রেখে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ ওঠে, দোষী ব্যক্তির শাস্তির দাবিও প্রবল হয়। দাবি না মেটা পর্যন্ত দেহ দাহ করা হবে না বলেও জানান মৃতার পরিজনেরা।
বিক্ষোভ শুরু হতেই টনক নড়ে প্রশাসনের। তড়িঘড়ি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেখা করতে ছোটেন পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তাৎক্ষিক সিদ্ধান্তের জেরে ইগলাসের স্টেশন হাউজ অফিসারকে সাসপেন্ডের নির্দেশ দিয়েছেন আলিগড়ের এসএসপি জি মুনিরাজ।
হাথরাস কাণ্ডে পুলিশ প্রশাসনের অবস্থান নিয়ে যখন দেশজুড়ে সমালোচনা, তখন সেই হাথরাসেরই এই মেয়ে ধর্ষিতা হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল। এখানেও পুলিশের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বারবার এমন ধর্ষণের ঘটনা এবং নির্যাতিতার মৃত্যু সঙ্গে পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করা চ্ছে বলে মনে করছে সমশ্লিষ্ট মহল।