কলকাতা: করোনা ভাইরাসের আক্রমণে স্বাস্হ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক অবস্থাও হয়ে উঠেছে টালমাটাল। জীবন ও জীবিকা ভালমতই সংকটে। চাকরি বা ছোট অনেক ব্যবসায় নেমে এসেছে মন্দা। এ রকম অবস্থায় নতুন জীবিকা বা ব্যবসার খোঁজ করছেন বহু মানুষ। বিশেষত কম পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার সন্ধানে আছেন অনেকে। সে রকমই কিছুর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।
লিকুইড ডিটারজেন্টের এই মুহূর্তে বাজারে চাহিদা প্রচন্ড। কারণ ভাইরাসের কারণে অনবরত জামাকাপড় কাচার ঝক্কি। প্রচুর চাহিদা তৈরি হলেও এখনও এ ব্যবসায় প্রতিযোগিতার বহর নেই বললেই চলে। যন্ত্রপাতির ইউনিট স্হাপন না করে মাত্র ১২০ বর্গফুট জায়গার মধ্যে ৫০,০০০ টাকার পুঁজিতে সহজেই শুরু করতে পারেন এর উৎপাদন ও বিক্রি।
চোখ রাখা যাক, তৈরিতে উপাদান কী কী লাগে – ক. অ্যাসিড স্লারি -১৪ কেজি খ. কস্টিক সোডা – ২ কেজি গ. ইউরিয়া – ৫ কেজি ঘ. ফোম বুস্টার – ১ কেজি ঙ. সুগন্ধি- ৫০০ গ্রাম চ. জল – ৭৭ লিটার। সহজলভ্য উপাদানগুলি মোটামুটি পেয়ে যাবেন কলকাতার এসপ্ল্যানেড এলাকার বনফিল্ড লেন, আর্মেনিয়ান স্ট্রিট বা এজরা স্ট্রিটে। প্যাকের জন্য বা পরীক্ষার PH কাগজের জন্য যেতে পারেন কলেজ স্ট্রিটের ল্যাবরেটরি সরঞ্জাম বিক্রির দোকান বা ক্যানিং স্ট্রিটে।
তৈরি করাতেও কোনও জটিলতা নেই। বড়সড় কোনও প্লাস্টিক গামলায় ৭৭ লিটার জল নিয়ে তাতে ১৫ কেজি অ্যাসিড স্লারি মিশিয়ে নিন। তেলের মতো হওয়ায় অ্যাসিড জলে পুরোপুরি মিশবে না। এবার মেশান সোডা। দেখবেন, মিশ্রণ গরম হচ্ছে। রাসায়নিক বিক্রিয়ার জন্য তৈরি হতে পারে ফেনাও। সোডা গলে গেলে যোগ করুন, ইউরিয়া। তাতে ফেনা থিতিয়ে যাবে। কাঠের খুন্তি বা দন্ড দিয়ে নেড়ে নিন এবার। হলুদ রঙের PH কাগজ ডুবিয়ে দেখে নিন, তা লালচে হচ্ছে কি না। হলে বুঝবেন, একদম সঠিকভাবে তৈরি হয়েছে। ফোম বুস্টার আর সুগন্ধি মিশিয়ে তৈরির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে প্যাক করুন। জেলা শিল্প কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে পারেন বা বিভিন্ন রিটেলেও যেতে পারবেন উৎপাদিত এই সোপ বিপপণের জন্য।