করোনা পরিস্থিতিতে আটকে স্থায়ীকরণ, অনিশ্চয়তায় ভুগছেন শিক্ষকরা

দু’বছর পরেও স্থায়ীকরণ হয়নি বহু শিক্ষকের। নিয়ম বিধি অনুযায়ী নিয়োগের দু'বছর পর শিক্ষকদের স্থায়ী করার কথা ছিল। কিন্তু মেডিকেল টেস্ট এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন কোনটাই না হওয়ায় দু'বছর পরেও অস্থায়ী রয়ে গিয়েছেন বহু শিক্ষক। এর ফলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক অনিশ্চয়তায় ভুগছেন এবং সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ।

কলকাতা: দু’বছর পরেও স্থায়ীকরণ হয়নি বহু শিক্ষকের। নিয়ম বিধি অনুযায়ী নিয়োগের দু’বছর পর শিক্ষকদের স্থায়ী করার কথা ছিল। কিন্তু মেডিকেল টেস্ট এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন কোনটাই না হওয়ায় দু’বছর পরেও অস্থায়ী রয়ে গিয়েছেন বহু শিক্ষক। এর ফলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক অনিশ্চয়তায় ভুগছেন এবং সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ।

শিক্ষকদের একাংশের তরফে জানানো হয়েছে, বেশ কিছু পদে নিয়োগ করা হয়েছে। এমন ঘটনার পর প্রায় দু’বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু সেই পদে কবে তাঁদের স্থায়ী করা হবে সে সংক্রান্ত কোনও নির্দেশ এখনো পর্যন্ত এসে পৌঁছায়নি। তার ওপরে করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই তাঁদের। ফলে যথেষ্ট চিন্তাতেই দিন কাটছে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে যে সমস্ত শিক্ষক মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিয়োগ করেছিল, তাদের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটেছে।

শুধু নতুন শিক্ষকদের ক্ষেত্রেই নয়, যে সব শিক্ষক বদলির জন্য নতুন করে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং পাশ করে অন্য কোনও স্কুলে চাকরি পেয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। তাদেরও স্থায়ীকরণ হয়নি। এক শিক্ষকের অভিযোগ, একটি স্কুলে তিনি শিক্ষকতা করতেন। সেখান থেকে বাড়ির কাছে কোনও স্কুলে বদলির আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন মঞ্জুর হয়নি। ফলে নতুন করে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি এবং বাড়ির কাছে একটি স্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তিনি কবে যোগ দিতে পারবেন তা এখনও জানেন না। তারপর স্থায়ীকরণ না হওয়ায় এখনও বহু শিক্ষক বদলির আবেদন করতে ইতস্তত বোধ করছেন।

শিক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা অনেকটাই কেটে গিয়েছে। সরকারি দপ্তরগুলোতে কাজকর্ম শুরু হয়েছে। কিন্তু শিক্ষা দপ্তরের এই ব্যাপারে কোন উচ্চবাচ্য নেই। বার বার আবেদন করেও কোনও ফল হয়নি।  তাই শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন সরব হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে পর্ষদের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে নতুন শিক্ষকদের পুলিশে জাতীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছিল কিন্তু করোনার কারণে সেটি বন্ধ হয়নি। শুধু ধীরগতিতে চলছে। তাদের তরফে এও জানানো হয়েছে যে তারিখে শিক্ষকদের স্থায়ীকরণের কথা ছিল সেই তারিখেই তাদের স্থায়ীকরণ করা হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − ten =