কলকাতা: কয়েক দিন আগেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় ঘোষণা করেছিলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জানিয়েছিলেন রাজ্যের সাড়ে ১৬ হাজার শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হবে৷ সেই মতো আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হল তৃতীয় টেট বিজ্ঞপ্তি৷ ৩১ জানুয়ারি দুপুকর ১ টা থেকে নেওয়া হবে টেট পরীক্ষা৷ ২০২১ সালে বাংলা বিধানসভা নির্বাচন৷ প্রায় ৩ বছর পর ভোটের মুখে টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷
আরও পড়ুন- শিক্ষানবিশ পদে প্রচুর নিয়োগ ভারতীয় রেলে, শুরু অনলাইন আবেদন
টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট এগজামিনেশন হবে ১৫০ নম্বরে৷ সময় আড়াই ঘণ্টা৷ ওয়েটেজ ৯০। শীতের জন্য পরীক্ষার সময় এক ঘণ্টা এগিয়ে আনা হয়েছে৷ ১৬ হাজার ৫০০টি শূন্যপদের জন্য আড়াই লক্ষ প্রার্থী টেট পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে চলেছে৷ পরীক্ষা হবে অফলাইনে৷ তবে করোনাকালে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে পরীক্ষা নেওয়া হয়, সেই দাবি তুলেছে শিক্ষক সংগঠনগুলি৷ তবে যাঁরা ইতিমধ্যেই টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, তাঁদের ইন্টারভিউ হবে ১০ থেকে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে৷ আর তৃতীয় দফার টেট পরীক্ষার দিন ৩১ জানুয়ারি ধার্য করা হয়েছে৷
২০১৭ সালে শুরু হয় টেট পরীক্ষার প্রক্রিয়া৷ টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হতেই আড়াই লক্ষের বেশি আবেদন জমা পড়ে৷ কিন্তু নানা কারণে গত তিন বছরেও সেই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি সরকারের পক্ষে৷ তবে গত সপ্তাহে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেইমতো প্রার্থীদের ‘ভেরিফিকেশন’ও শুরু করে দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ৷
আরও পড়ুন- বদলি নিয়ে অসন্তোষ, সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি পেশ শিক্ষক সংগঠনের
গত ১১ নভেম্বর নিয়োগ সংক্রান্ত ঘোষণায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘২০ হাজার ছাত্রছাত্রী টেট পাশ করেছেন। টেট পরীক্ষার পর ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। এখন ১৬ হাজার ৫০০টা শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে৷
পাশাপাশি শিক্ষকদের বদলির বিষয়েও ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জানিয়েছিলেন, ১০ হাজার ১৬৩ জন প্রাথমিক শিক্ষক বদলির আবেদন করেছিলেন। তার মধ্যে ৬ হাজার ৪৬৬ জন শিক্ষক নিজের জেলায় বদলি হয়ে গিয়েছেন। উচ্চমাধ্যমিকে নিজের জেলায় ৫ হাজার ৫০২ জন বদলি চেয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩ হাজার ৮৫২ জনের বদলি মঞ্জুর করা হয়েছে। তবে, জানুয়ারির শেষে পরীক্ষা নিয়ে ভোটের আগে আদৌ নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব? কেননা, জানুয়ারির শেষে পরীক্ষা নেওয়ার পর ফেব্রুয়ারিতে যদি ফল প্রকাশ হয়, তাহলে মার্চ-এপ্রিলে ভোটের বিধি ঘোষণার আগে নিয়োগ প্রক্রিয়া আদৌ হবে? এহেন প্রশ্ন ভাবাচ্ছে প্রার্থীদের৷ ২০১৭ সালে টেটের আবেদন জমা নেওয়ার পর পরীক্ষা নিয়ে যদি ৩ বছর লেগে যায়, তাহলে নিয়োগ হতে আর কত দিন অপেক্ষা করতে হবে? তারপর মামলার ঝুঁকি তো আছেই৷ গুরুতর প্রশ্ন চাকরিপ্রার্থীদের৷