আজ বিকেল: পিএসসিতে নিয়োগের দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে আজ রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন কর্মসূচি নিয়েছিলেন জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার পদপ্রার্থীদের একাংশের৷ কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর ‘জল বাঁচাও দিবস’ পদযাত্রার কারণ দেখিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন কর্মসূচি রুখল পুলিশ৷ নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আজ রাজভবনে মিছিল করে যাওয়ার কথা থাকলেও শিয়ালদহ আদালতের সামনে ব্যারিকের্ড দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের আটকে দেওয়ার অভিযোগ৷ শিয়ালদহ চত্বরে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়৷ রাজ্যপালের কাছে যেতে গিয়ে পুলিশি বাঁধা পাওয়ার পর রাস্তায় বসে পড়েন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ চলে স্লোগান৷
এই বিষয়ে আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ইন্দ্রজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘মাননীয়া বলছেন রাজ্যের বকাটেদের চাকরি দেবেন বলছেন৷ কিন্তু ইঞ্জিনিয়াররা আজ রাস্তায়৷ জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের পরীক্ষায় ব্যপক দুর্নীতি হয়েছে৷ তার প্রতিবাদে আজ রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন দেওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু শিয়ালদহ চত্বরে ২ জন আইপিএস অফিসার সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ারদের আটকে দেয়৷ এখন শিয়ালদাতে বিক্ষোভ চলছে৷’’
এর আগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে চাকরির দাবিতে পিএসএসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখেন ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ চাকরিপ্রার্থীরা। পিএসসির চেয়ারম্যানকে আইএএস পদমর্যাদার হতে হবে। অবস্থান বিক্ষোভের দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তাঁরা৷ শয়ে শয়ে চাকরি প্রার্থীরা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান৷
জানা গিয়েছে, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার নোটিস হয় ২০১৭-তে। গত বছর জানুয়ারি পর্যন্ত ফর্ম ফিলআপ হয়। তারপর ১৮ ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা হয়। ওই বছর ২৫ নভেম্বরে পরীক্ষা হয়। ডিসেম্বরে ভাইভা হয়। গত ১৭ জুন ইলেকট্রিকালের রেজাল্ট বেরলে দেখা যায় ২০৫৩ জন পাশ করেছেন। মাত্র ১২০জনকে এই ২০৫৩ জনের মধ্যে নিয়োগ করা হয়েছে। সাধারণত শূন্যপদ অনুযায়ী ইন্টারভিউতে ডাকা হয়। একটা পদের জন্য তিনজনকে ডাকা হয়। সাধারণত শূন্যপদ থাকলেই পরীক্ষা হয়। তাহলে মাত্র ১২০জনকে নিয়োগ করল, বাকিদের কী হবে? শূন্যপদগুলি কোথায় গেল?
বিসিএস, ফায়ার অপারেটর, ফুড সার্ভিস সবেতেই দুর্নীতি। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছেলেমেয়েরা পথে বসে রয়েছেন। পিএসসি যদি বিক্ষোভরত প্রার্থীদের দাবি না মানে তাহলে আন্দোলন চলবে। মুদিয়ালিতে পিএসসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ চলবে যতক্ষণ না শূন্যপদের তালিকা জানাচ্ছে পিএসসি কর্তৃপক্ষ। যাঁরা ইন্টারভিউতে পাশ করতে পারলেন না তাঁদের ফলাফল প্রকাশ করা হোক। বিশদে নিজেদের অবস্থান জানাক পিএসসি কর্তৃপক্ষ৷ নাহলে এই আন্দোলন দিনের পর দিন চলবে।
ইন্দ্রজিৎ ঘোষের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী বখাটে ছেলেদের চাকরি দিচ্ছেন। অথচ সরকারিভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে বসে রয়েছেন যোগ্য প্রার্থীরা। কাটমানি কোথা থেকে আসছে তা ভালই বোঝা যাচ্ছে। পিএসসি কর্তপক্ষ যতক্ষণ না সচ্ছতার সঙ্গে সবটা সামনে আনচে ততক্ষণ আন্দোলন চলবে, এমনকি, আদালতে যেতে পারেন বিক্ষোভকারী প্রার্থীরা।