কলকাতা: অপরাধ, নিয়োগপত্র না পেয়ে এবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী৷ অভিযোগ, এসএসসির দপ্তরে নিয়োগ পত্র চাইতেই সফল চাকরিপ্রার্থীদের উপর বেপরোয়া লাঠিচার্জের পুলিশের৷ গ্রেপ্তার বহু চাকরিপ্রার্থী৷
কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় মোট শূন্যপদ ১৬৯৩৷ এর মধ্যে ৮৯০ জন চাকরি পান৷ ৮০৩ জন বাকি প্যানেলভুক্ত এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা আজ সকালে সল্টলেক আচার্য সদনের সামনে জমায়েত করেন৷ পুলিশ সেখান থেকে চাকরিপ্রার্থীদের চলে যেতে নির্দেশ দেয়৷ অভিযোগ, এই নিয়ে শুরু হয় বচসা৷ পরে সল্টলেক করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডের পাশে জমায়েত শুরু হলেও পুলিশ এলাকা ফাঁকা করার নির্দেশ দেয় বলে অভিযোগ৷ পুলিশের দাবি, নিয়ম না মেনে এই জমায়াতে করা হয়েছে৷ পুলিশি বাঁধা পেয়ে শুরু হয় ধস্তাধস্তি৷ অভিযোগ, এলাকা ফাঁকা করতে পুলিশ চাকরিপ্রার্থীদের উপর লাঠি চালাতে শুরু করে৷ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে বিধান নগর পূর্ব থানার পুলিশ আটক করে৷ প্রায় ৫ ঘণ্টা পর ধৃতদের মুক্ত দেয় পুলিশ৷
ঠিক কী কারণে এই বিক্ষোভ? এবিষয়ে চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশে এই মুহূর্তে ঝুলে শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ আদালতের তরফে মেধাতালিকায় থাকা চাকরিপ্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ চেয়ে পাঠানো হলেও তা এখনও করে উঠতে পারেনি কমিশন৷ আর এর জেরে থমকে নিয়োগ৷ চাকরি-প্রার্থীদের দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে অবিলম্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করুক কমিশন৷
নিয়োগে সমস্যা কোথায়? চাকরিপ্রার্থীদের তরফে জানানো হয়েছে, শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা শিক্ষক নিয়োগের জয়েনিং প্রক্রিয়ার জন্য কমিশনের তরফে দু’টি দিন ধার্য করা হয়৷ ২৮ ও ৩০ জানুয়ারি সফল চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা ছিল৷ ২৮ জানুয়ারি ৮৯০ চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়৷ নিয়োগপত্র বিলি শুরু হতেই ২৯ তারিখ আদালতের তরফে নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়৷ বেশ কিছু ওয়েটিং চাকরিপ্রার্থীদের মামলার জেরে ৩০ জানুয়ারি ৮০৩ জন সফল চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগপত্র বিলির কাজ থমকে যায়৷ পরে, আদালতের তরফে চাকরিপ্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চাওয়া হলেও তা এখনও জমা করে উঠতে পারেনি কমিশন৷ আর তার জেরেই দীর্ঘ পাঁচ মাস ঝুলে শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ নিয়োগ থমকে থাকায় নিয়োগপত্র হাত না পেয়ে চূড়ান্ত বিপাকে ৮০৩ সফল চাকরিপ্রার্থী৷