আরও কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে শিক্ষকদের! নয়া নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর | PM Modi on NEP 2020

আরও কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে শিক্ষকদের! নয়া নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর | PM Modi on NEP 2020

 

নয়াদিল্লি: শিক্ষার মানোন্নয়নে এবার শিক্ষকদের গুণগত মান বৃদ্ধির বিষয়ে একগুচ্ছ পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ শিক্ষকদের মান উন্নয়ন হলে দেশ এগিয়ে যাবে বলেও দাবি প্রধানমন্ত্রীর৷ বিষয়টি নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের প্রতিনিয়ত আপডেট থাকতে ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের বিষয় সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷ এছাড়াও শিক্ষকদের দিয়েছেন গুচ্ছ পরামর্শ৷

আজ জাতীয় শিক্ষানীতির প্রসঙ্গে একটি ভিডিও বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ সেখানে শিক্ষকদের পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘জাতীয় শিক্ষানীতি শিক্ষকদের মানোন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷ একটি প্রয়াস নেওয়া হয়েছে, যেখানে ভারতের প্রতিভা ভারতে থেকে কাজ করতে পারে তা নিশ্চিত করা৷ আর সেই কারণে জাতীয় শিক্ষানীতিতে শিক্ষক প্রশিক্ষণে সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে৷ তাঁরা তাঁদের দক্ষতা লাগাতার আপডেট করতে থাকেন৷ এরপর শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে ভীষণভাবে জোর দেওয়া হয়েছে৷ আমি বিশ্বাস করি, শিক্ষকরা যদি নিজেদের মানোন্নয়ন করেন, তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে৷’’

এরপর প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘জাতীয় শিক্ষানীতি সফল করার জন্য আমাদের সকলকে একসঙ্গে সংকল্প নিয়ে এগোতে হবে৷ বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল এডুকেশন, বিভিন্ন রাজ্য সঙ্গে সমন্বয় রেখে শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন দৌড় শুরু হতে চলেছে৷ আপনাদের প্রত্যেককে সহযোগিতা প্রয়োজন৷ আপনাদের দায়বদ্ধতা অনেক বেশি৷ আমার অনুরোধ জাতীয় শিক্ষা নীতির বিষয়ে লাগাতার আপনারা আলোচনা করুন৷’’

গত ২৯ জুলাই নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে সবুজ সঙ্কেত দেয় মন্ত্রিসভা৷ ৩৪ বছর পর দেশে বদল ঘটল শিক্ষানীতির৷   নয়া শিক্ষানীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হল ন্যাশনাল প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্স ফর টিচার্স বা জাতীয় পেশাদার মানদণ্ডের (এনপিএসটি) একটি গাইডলাইন তৈরি করা৷ ২০২২ সালের মধ্যে এই গাইডলাইন তৈরি করবে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (এনসিটিই)৷ নয়া নীতিতে আরও বলা হয়েছে, জেনারেল কাউন্সিলের অধীনে এনসিটিই একটি প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ড সেটিং বডি (পিএসএসবি) তৈরি করবে৷

পাশাপাশি বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ধীরে ধীরে টিচার এডুকেশনকে মাল্টিডিসিপ্লিনারি কলেজ  এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হবে৷ ২০৩০ সালের মধ্যে একজন শিক্ষকের ন্যূনতম যোগ্যতা হতে হবে বি.এড সমন্বিত চার বছরের ডিগ্রি৷ যাঁরা অন্যান্য স্পেশালাইজড বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি করেছেন, কেবলমাত্র তাঁদেরই ২ বছরের বি.এড কোর্স করার সুযোগ দেওয়া হবে৷ যাঁরা চার বছরের মাল্টিডিসিপ্লিনারি বেচেলর ডিগ্রি করেছেন বা মাস্টার ডিগ্রি করেছেন এবং ওই বিষয়েরই শিক্ষক হতে চান, তাঁরা ১ বছরের বি.এড ডিগ্রি করার সুযোগ পাবেন৷ ওডিএল স্বীকৃতি প্রাপ্ত মাল্টিডিসিপ্লিনারি  উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি পরবর্তী সময়ে উচ্চমানের বি.এড করার সুযোগও নিয়ে আসতে পারে৷

 

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বি.এড-এ থাকবে সাম্প্রতিক শিক্ষিবিজ্ঞানের কৌশল, বুনিয়াদি সাক্ষরতা এবং সংখ্যার বিষয়ে শিক্ষাদান, বহু স্তরে শিক্ষা এবং মূল্যায়ন, প্রতিবন্ধী শিশুদের পড়ানো, বিশেষ আগ্রহ দিয়ে বাচ্চাদের পড়ানো, শিক্ষাগত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং শিক্ষা কেন্দ্রিক এবং সহযোগী শিক্ষা৷ এছাড়া BITE, DIET-তে বিশেষ সংক্ষিপ্ত নেটিভ ট্রেনার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হলে কলেজ বা কলেজের কমপ্লেক্সগুলিতে 'মাস্টার ইন্সট্রাক্টর' হিসাবে যোগ দেওয়া যেতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ, নেটিভ আর্ট ওয়ার্ক, সঙ্গীত, কৃষি, উদ্যোগ, ক্রীড়া ক্রিয়াকলাপ, কাঠের কাজ এবং বিভিন্ন বৃত্তিমূলক কারুকাজের ক্ষেত্রে এগুলি প্রযোজ্য। কম সময়ের বি.এড সার্টিফিকেশন প্রোগ্রামগুলি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির শিক্ষকদেরা যদি একস্ট্রা স্পেশ্যাল এরিয়ায় স্থানান্তর করতে চান এমন শিক্ষকদের কাছেও বিস্তৃতভাবে তৈরি করা যেতে পারে। ২০২১ সালের মধ্যে শিক্ষকদের জন্য একটি নতুন এবং সম্পূর্ণ জাতীয় পাঠ্যক্রম কাঠামো তৈরি করা হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 + 8 =