কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মসনদ দখলের লড়াই যত দিন যাচ্ছে ততই হয়ে উঠছে উত্তপ্ত। ভোটের আগে লাগাতার দলবদলে বিপর্যস্ত শাসক শিবিরকে কোণঠাসা করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি। তবে সহজে হাল ছাড়তে নারাজ তৃণমূলও। এই আবহেই এদিন রাজ্যের কর্মসংস্থান ইস্যু ঘিরে দুই শিবিরের দ্বন্দ্বে ফের বাড়ল রাজনীতির উত্তাপ।
একদিকে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়ার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে বর্তামান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মঙ্গলবার এই দুজনের বক্তব্যেই ফের তেতে উঠেছে রাজনৈতিক মহল। সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে এদিন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষক নিয়োগ এবং অস্থায়ী শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে বড়সড় আশ্বাস দেন। অন্যদিকে, বারুইপুরের জনসভা থেকে বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিস্ফোরক ঘটান রাজ্যের কর্মসংস্থান নিয়ে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অন্তত ৫ লক্ষ স্থায়ী পদ খালি থাকা সত্ত্বেও সরকার সেখানে নিয়োগ করছে না বেকারদের, এমনটাই দাবি করেন তিনি।
এদিন বারুইপুরে আয়োজিত গেরুয়া জনসভা থেকে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শিক্ষকরা ট্রেনিং নিয়ে বসে আছেন, আন্দোলন করছেন, কিন্তু চাকরি পাচ্ছেন না।’’ শুধু তাই নয়, কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘বাংলার বেকার যুবকরা স্থায়ী চাকরি পাচ্ছে না। প্রায় ৫ লক্ষ শূন্যপদ পড়ে রয়েছে,একটাও স্থায়ী চাকরি বাঙালি পাচ্ছে না৷’’ কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে সদ্ভাব না রাখার ফলেই রাজ্যের এই অবস্থা, জানান তিনি।
অন্যদিকে এদিন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অস্থায়ী শিক্ষকরা আগের সরকারের আমলে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ‘‘আমরা বলেছি পর্যায়ক্রমে তাঁদের স্থায়ীকরণ করা হবে’’, বলেন তিনি। এযাবৎ রাজ্য সরকার প্রায় ১ লক্ষ শিক্ষক নিয়োগ করেছে বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। সেই সঙ্গে ১৬৫০০ শিক্ষক আবার নিয়োগ করা হবে বলে আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। টেট পরীক্ষা যে নির্বিঘ্নেই মিটেছে এদিন সে কথাও স্মরণ করিয়ে দিতে ভোলেন নি শিক্ষামন্ত্রী। কর্মসংস্থান ইস্যুতে মঙ্গলবারের শাসক-বিরোধী এই দ্বন্দ্বের উত্তাপ পৌঁছে গেছে বাংলার মানুষের কাছে।