কলকাতা: বেতন বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবিতে বিক্ষোভ আন্দোলনে বসেছেন পার্শ্বশিক্ষকরা৷ শীতের কামড় উপেক্ষা করেই চলছে তাঁদের লড়াই৷ আন্দোলনের শুরুতে ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচার ভরসা বলতে ছিল মাথার উপর আচ্ছাদনটুকুই৷ পরে মঞ্চের চারদিক প্লাস্টিক দিয়ে ঘিরে নেন তাঁরা৷ বিছানো হয় খড়৷ কিন্তু তাতে কী আর কনকনে ঠাণ্ডার মোকাবিলা করা যায়৷ তার উপর নেই পানীয় জল, শৌচাগার৷ এই প্রবল প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করেই নিজেদের দাবিতে অনড় তাঁরা৷ ঠাণ্ডার কাছে তাঁরা যে হার মানবে না সে কথা স্পষ্ট করে দিয়েছে পার্শ্বশিক্ষক মঞ্চ৷
আরও পড়ুন- পুলিশের বিভিন্ন পদে ১০ হাজারের বেশি নিয়োগ, সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের
বেতন কাঠামো ও স্থায়ীকরণের দাবিতে গত শুক্রবার থেকে বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনে বসেছেন পার্শ্বশিক্ষকরা৷ পার্শ্বশিক্ষকদের ঐক্যমঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক মধুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিধাননগর পুলিশের তরফে বিকাশ ভবনের সামনে বসার অনুমতি পাননি তাঁরা। হাইকোর্ট থেকে অনুমতি নিয়েই তাঁরা বিক্ষোভে বসেছেন। হাইকোর্ট তাঁদের বিকাশ ভবন থেকে ১০০ মিটার দূরে বসার অনুমতি দিয়েছে বলেও জানান মধুমিতাদেবী৷ সেই সঙ্গে আদালতের নির্দেশ, করোনা-বিধি মেনে তাঁরা ৭০০ জনের বেশি বিক্ষোভ মঞ্চে থাকতে পারবেন না। সেই নির্দেশ মেনেই চলছে আন্দোলন৷
পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের আরও এক যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ জানান, রাতেও বিক্ষোভ মঞ্চ থেকে সরেনি পার্শ্বশিক্ষকরা৷ ২৫০ থেকে ৩০০ জন শিক্ষক প্রবল ঠাণ্ডার মধ্যেও উপস্থিত ছিলেন। রাত যত বেড়েছে, ঠাণ্ডায় তত বেশি কষ্ট পেয়েছেন তাঁরা। চারদিক ঢাকার কোনও ব্যবস্থা ছিল না। ফাঁকা জায়গায় একটা কম্বল দিয়ে ঠান্ডা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়৷ সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন মহিলা পার্শ্বশিক্ষকরা৷
আরও পড়ুন- শিক্ষক নিয়োগে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, কালই বিজ্ঞপ্তি, ইন্টারভিউ ১০ জানুয়ারি!
এক বছর আগেও একইভাবে বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন এই পার্শ্বশিক্ষকরা৷ সেই সময় অবশ্য তাঁদের জন্য পানীয় জল ও বায়োটয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ কিন্তু এবার কোনও ব্যবস্থাই করা হয়নি৷ মধুমিতাদেবী বলেন, ‘‘দিনরাত রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন মহিলা পার্শ্বশিক্ষকরাও৷ প্রশাসন কি তাঁদের জন্য এটুকু ব্যবস্থা করতে পারে না?’’
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে চলছে তাঁদের লাগাতার আন্দোলন৷ গত বছর প্রশাসনের আশ্বাসে আন্দোলন তুলে নিয়েছিলেন তাঁরা৷ কিন্তু আশ্বাসবাণী আজও বাস্তবায়িত হয়নি৷ ফলে ফের শুরু হয়েছে তাঁদের সংগ্রাম৷