কলকাতা: বেতন পরিকাঠামো, স্থায়ীকরণ ও সরকারি সুযোগ সুবিধার দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছেন রাজ্যের পার্শ্ব শিক্ষকরা৷ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে তাঁদের আন্দোলন অনেকটাই নিবর ছিল৷ নিরবতা ভেঙে ফের আন্দোলনের হুংকার পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের৷
আরও পড়ুন- নিয়োগের দাবিতে স্মারকলিপি টেড উত্তীর্ণ প্রার্থীদের, সরব উচ্চপ্রাথমিকের প্রার্থীরাও
মঞ্জের সদস্য ভাগীরথ ঘোষ বলেন, এত দিন যে স্বপ্ন দেখেছি সেটা পূরণের সময় এসে গিয়েছে৷ এই স্বপ্ন পূরণের জন্যই আগামী দিনে বৃহত্তর লড়াইয়ের চিন্তা ভাবনা করা হয়েছে৷ পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চ সহ সমস্ত সংগঠন (সরকার পন্থী সংগঠন ছাড়া) এই আন্দোলনে সামিল হবে৷ এতদিন ধরে প্রকাশ্যে কিছুটা নিরবতা পালন করা হয়েছিল৷ তবে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চ একটা মুহূর্তের জন্যও থেকে থাকেনি৷ মন্ত্রী, নেতা থেকে আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে৷ ঘরে বসেও কাজ চলেছে৷
কিন্তু কেন এতদিন নিরব ছিলেন তাঁরা? ভাগীরথ ঘোষ বলেন, ‘‘বিপুল সংখ্যক পার্শ্ব শিক্ষকের ধারনা ছিল মমতাময়ী সরকার হয়তো তাঁদের পাশে দাঁড়াবে৷ সরকারপন্থী সংগঠনের বহু পার্শ্ব শিক্ষক ব্যক্তিগত ভাবেও আমাকে নিরব থাকার আর্জি জানিয়েছিলেন৷ সম্ভাবনার বার্তা পেয়েই হয়তো এই আবেদন করা হয়েছিল৷ কিন্তু কোনও কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি৷ ৪৮ হাজার পার্শ্ব শিক্ষকের কথা ভেবেই ছিল এই নিরবতা৷ এবার নিরবতা ভেঙে ফের কালকাতার রাস্তায় গর্জন করবে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চ৷’’ ফলে আবারও যে তাঁরা আন্দোলনের পথে পথে ফিরতে চলেছে তা স্পষ্ট করে দেন তিনি৷
আরও পড়ুন- বদলি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান চেয়ে বিকাশ ভবনে ডেপুটেশন শিক্ষক সংগঠনের
রাজ্য পার্শ্বশিক্ষক সমন্বয় সমিতির মুকুল সরকার, পার্শ্বশিক্ষক কল্যাণ সমিতির অভিজিৎ ভৌমিক এবং বিজেপি’প পিটি মঞ্চের প্রদীপ ঘোষও আন্দোলনের পক্ষেই সুর চড়ান৷ তাঁরা জানান, নানা কারণে ৭ তারিখের কর্মসূচি স্থগিত রাখতে তাঁরা বাধ্য হয়েছেন৷ তবে আগামী ডিসেম্বরে নতুন করে কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে৷ এছাড়াও ১১ নভেম্বরয বেলা ১১টায় শিয়ালদা থেকে মহামিছিল যাবে রাসমনি রোড পর্যন্ত৷ সেখান থেকে রাজভবনে রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হবে৷ ওই দিন থেকেই শুরু হবে গণ ইমেল৷ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই ইমেল পাঠানো হবে৷ বিধায়ক এবং সাংসদদের কাছেও পার্শ্বশিক্ষকদের বঞ্চনার কথা তুলে ধরা হবে৷