কলকাতা: স্থায়ীকরণ-সহ বেতন কাঠামোর পুনর্বিন্যাসে দাবিতে টানা সাত দিনের লড়াইয়ে নেমেছেন পার্শ্বশিক্ষকদের একাংশ৷ কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে বিকাশ ভবনের অদূরে চলছে পার্শ্ব শিক্ষকদের বিক্ষোভ৷ শিক্ষা দপ্তরের অদূরে শিক্ষকদের বিদ্রোহে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ পাল্টা পার্শ্ব শিক্ষকদের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর৷ আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা৷
সংবাদমাধ্যমে পার্শ্ব শিক্ষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘ওঁরা আগে বিবেচনা করুক, কী অবস্থায় ছিল, এখন তাদের কী অবস্থা৷ আর একটা বিষয়, কেন্দ্র সরকার যদি সবকিছু করে দিতে পারে, তাহলে করুক৷ কেন্দ্র সরকার দিলেই আমরা দিয়ে দেব৷ এটা নিয়ে রাস্তাঘাটে বসার কি আছে? এটা দেখতে হবে যে, ক্লাস না করিয়ে এইভাবে রাস্তায় বসে থাকবে, ছাত্র-ছাত্রীদের না পড়িয়ে যারা আন্দোলন করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনত ব্যবস্থা নেব৷ আমরা দেখছি কারা কারা স্কুল কামাই করে আন্দোলন করছেন৷ স্কুল ছুটি নিয়ে যারা আন্দোলন করছেন, আইনত যা বিধি আছে তাই পদক্ষেপ নেয়া হবে৷’’
অন্যদিকে, রাজভবনের তরফে বিবৃতি জারি করে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, ‘‘আজ নিজেদের প্রাপ্য আদায়ে শিক্ষকদের পথে নামতে হচ্ছে৷ আন্দোলন করতে হচ্ছে৷ এটা দুঃখজনক বিষয়৷ তবে, এটাও ঠিক, পার্শ্বশিক্ষকদের এই ধর্না শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রভাব ফেলবে৷ রাজ্যের সমস্ত শিক্ষকদের যোগ্য সম্মান নিশ্চিত করা উচিত৷’’
আজ থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বিকাশভবনের সামনে চলবে ধর্না কর্মসূচির ডাক দিয়েছে পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চ৷ এই প্রথমবার হাইকোর্টের অনুমতি পেয়ে বিকাশভবন চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ছাড়পত্র পেয়েছে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চ৷ আদালতের শর্ত অনুযায়ী বিকাশভবনের ১০০মিটারের মধ্যে ক্যাম্প করে অবস্থান করতে পারবেন ৩০০ জন৷ ৩০০ মিটারের বাইরে অবস্থান করতে পারবেন বাকি সকলেই৷ শর্ত অনুসারে অবস্থান চলাকালীন পুলিশের পক্ষ থেকে ভিডিওগ্রাফি করা হবে৷ পুলিশের সঙ্গে সম্পূর্ন সহযোগিতা করতে হবে আন্দোলনকারী পার্শ্বশিক্ষকদের৷