পার্শ্বশিক্ষকদের লক্ষ্য এবার দিল্লি, হস্তক্ষেপ চেয়ে মোদিকে চিঠি

কলকাতা: ন্যায্য দাবি নিয়ে রাজ্য সরকারের পাশাপাশি এবার কেন্দ্র সরকারের ওপরেও চাপ সৃষ্টি করতে কর্মসূচি গ্রহণ করল পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চ। বৃহস্পতিবার অনশন মঞ্চ থেকে এই কর্মসূচি গৃহিত হয়। কর্মসূচি অনুযায়ী পার্শ্ব শিক্ষকদের দাবিদাওয়া সম্বলিত চিঠি এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও শিক্ষাবিদের কছেও পাঠানো হবে এই চিঠি। কেন্দ্র সরকারকে তাদের

পার্শ্বশিক্ষকদের লক্ষ্য এবার দিল্লি, হস্তক্ষেপ চেয়ে মোদিকে চিঠি

কলকাতা: ন্যায্য দাবি নিয়ে রাজ্য সরকারের পাশাপাশি এবার কেন্দ্র সরকারের ওপরেও চাপ সৃষ্টি করতে কর্মসূচি গ্রহণ করল পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চ। বৃহস্পতিবার অনশন মঞ্চ থেকে এই কর্মসূচি গৃহিত হয়। কর্মসূচি অনুযায়ী পার্শ্ব শিক্ষকদের দাবিদাওয়া সম্বলিত চিঠি এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।

পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও শিক্ষাবিদের কছেও পাঠানো হবে এই চিঠি। কেন্দ্র সরকারকে তাদের বরাদ্দ অর্থের হিসেব দিতে হবে বলেও দাবি জানিয়েছে শিক্ষক ঐক্যমঞ্চ।সমস্যার সমাধান না হলে এবার দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে বলেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হল আন্দোলন মঞ্চ থেকে।

পার্শ্বশিক্ষকদের অভিযোগ, বেতন বৈষম্য নিয়ে প্রথম থেকেই কেন্দ্রের ওপর দায় চাপিয়ে আসছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্র টাকা না পাঠালে বেতন বৃদ্ধি সম্ভব নয় বলেই জানিয়ে অসছে শিক্ষা দফতর। অন্যদিকে রাজ্জকে বরাদ্দ অর্থ পাঠানো হচ্ছে বলেই দাবি কেন্দ্রের। আর কেন্দ্র-রাজ্য এই আর্থিক দ্বন্দ্বের মাঝে পড়ে বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন পার্শ্বশিক্ষকরা বলে দাবি শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের।

কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সমগ্র শিক্ষা অভিযান প্রকল্পের অধীনস্থ দেশের শিক্ষকদের বেতন কাঠামোয় সমতা এনে অভিন্ন বেতন কাঠামো তৈরির নির্দেশ দিয়েছে বহুদিন আগেই। নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল যে, পার্শ্বশিক্ষক, এস এস কে, এম এস কে শিক্ষকদের ন্যূনতম বেতন ১৫ হাজার টাকা, উচ্চ প্রাথমিকে বেতন ২০ হাজার টাকা, মাধ্যমিক স্তরে সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের বেতন ন্যূনতম ২৫ হাজার টাকা, প্রধান শিক্ষকের বেতন ৩০ হাজার টাকা এবং স্কুলে আর্ট, শারীরশিক্ষা, কর্মশিক্ষার সঙ্গে যুক্ত আংশিক সময়ের শিক্ষকদের বেতন ৭ হাজার টাকা দিতে হবে। পার্শ্ব শিক্ষকদের অভিযোগ দেশের বেশিরভাগ রাজ্য এই প্রকল্প মেনে নিলেও পশ্চিমবঙ্গ এখনও পর্যন্ত এই সমগ্র শিক্ষা অভিযান প্রকল্প মানেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *