কলকাতা: ঢাকঢোল পিটিয়ে তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের সভা থেকে শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন বর্ধিত হারে বেতন পাবেন প্রাথমিক শিক্ষকরা৷ শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণার পরপর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল শিক্ষা দপ্তর৷ প্রাথমিক শিক্ষকদের লাগাতার ১৫ দিনের অনশন কর্মসূচির জেরে কার্যত চাপে পড়ে গ্রেড পে বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি জারি করে শিক্ষা দপ্তর৷ বিজ্ঞপ্তিতে ১ আগস্ট থেকে নয়া হারে বেতনক্রম চালু করার বিজ্ঞপ্তি জারি হলেও বর্ধিত বেতন পাননি বলে অভিযোগ প্রাথমিক শিক্ষকদের৷
প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, গত ২৬ জুলাই রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে গ্রেড-পে বৃদ্ধির ঘোষণা করা হলেও চলতি মাসে নতুন হারে বেতন পাননি প্রাথমিক শিক্ষকরা৷ শুক্রবার রাতে বেতন ঢুকলেও বর্ধিত হারে বেতন না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রাথমিক শিক্ষকদের বড় অংশ৷ তাঁদের অভিযোগ, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১ আগস্ট থেকে গ্রেড-পে বৃদ্ধির বিষয়টি কার্যকর করার হওয়ার কথা বলা হলেও কেন অগস্টের বর্ধিত হারে বেতন মিল না? এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্রোহ শুরু করেছেন শিক্ষকদের একাংশ৷ কিন্তু কী কারণে বর্ধিত হারে বেতন মিলল না? তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন৷
গত ২৬ জুলাই বিজ্ঞপ্তি জারি করে শিক্ষা দপ্তরের তরফে জানানো হয়, প্রাথমিক শিক্ষকদের গ্রেড পে ২ হাজার ৬০০ টাকা থেকে পে ব্রান্ড টু ৩ হাজার ৬০০ টাকা করা হয়৷ নিয়ে যাওয়া হয় পে ব্রান্ড থ্রিতে৷ অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকদের গ্রেড পে ২ হাজার ৩০০টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৯০০ টাকা করা হয়৷ পয়লা অগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল৷ অভিযোগ, বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পরও বর্ধিত হারে বেতন পেলন না রাজ্যের কয়েক লক্ষ প্রাথমিক শিক্ষক৷ বর্ধিত হারে বেতন না পেয়ে ‘প্রতারণা’র অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষকদের একাংশ৷
এই প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষকদের সংগঠন উস্তি ইউনাইটেডের রাজ্য সভাপতি সন্দীপ ঘোষ বলেন, গত ২৬ জুলাই উস্তিয়ানদের চাপে সরকার প্রাথমিক শিক্ষকদের স্কেল বৃদ্ধির জিও প্রকাশ করার পরেও আজও তার কোন রকম সার্টিফিকেশন দিতে পারল না রাজ্য সরকার৷ আমরা জানি, আমাদের দাবি মেনে সরকার সব শিক্ষকদের স্বার্থে ফিটমেন ফ্যাক্টর দিতে বাধ্য হবে৷ দেরি হোক, ক্ষতি নেই৷ কিন্তু ফিটমেন ফ্যাক্টর নির্ভুল হোক৷ তা
না হলে কিন্তু বাধ্য হব আবার রাস্তায় নামতে৷