কলকাতা: পঠন-পাঠনে মনোনিবেশ বাড়াতে শিক্ষকদের উপর নয়া ফরমান আগেই জারি করেছিল বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ৷ মোবাইল ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়েছে৷ ক্লাস চলাকালীন কোনও ভাবেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না বলে শিক্ষা সংসদের জারি করা বিজ্ঞপ্তি ঘিরে রাজ্যজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়৷ এবার, গোটা রাজ্যজুড়ে স্কুল চত্বরে মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ৷ বিজ্ঞপ্তি জারি করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী শিক্ষাবর্ষ অর্থাৎ ২ জানুয়ারি থেকে পড়ুয়ারা স্কুলে মোবাইল আনতে পারবে না৷ পড়ুয়াদের পাশাপাশি শিক্ষকদের মোবাইল ব্যবহারে উপরও জারি হয়েছে গুচ্ছ শর্ত৷
গত ৯ ডিসেম্বর মধ্যশিক্ষা পর্যদের শিক্ষা উপ-সচিব পার্থ কর্মকারের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি থেকে পড়ুয়ারা স্কুলে মোবাইল ব্যবহার করতে পারবে না৷ একই সঙ্গে ক্লাস নেওয়ার সময় কিংবা ল্যাবরেটরিতে কোনও ভাবেই মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না শিক্ষকরা৷ নির্দেশ না মানলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও খবর৷ কিন্তু, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে স্কুলে মোবাইল ফোনের ব্যবস্থারে লাগাম আদৌ টানতে পারবে পর্ষদ?
বিজ্ঞপ্তিতে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবার থেকে স্কুলের সব শিক্ষককে প্রার্থনার সময় উপস্থিত থাকতে হবে৷ স্কুলে সকাল ১১টা ৫-এর মধ্যে না ঢুকলে লাল কালি পড়বে শিক্ষকের নামে৷ ওই দিনের উপস্থিতি বাতিল হবে৷ প্রতিদিন ক্লাসে কী পড়ানো হচ্ছে, তার রিপোর্ট দিতে হবে প্রধান শিক্ষককে৷
একইসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ক্লাসে যখন-তখন শিক্ষকরা ফোন ব্যবহার করতে পারবে না৷ কোন দিন, কী পড়ানো হচ্ছে তা লিপিবদ্ধ করতে হবে শিক্ষককে৷ স্কুলের প্রার্থনা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাজিরা বাধ্যতামূলক৷ বিকেল সাড়ে চারটের আগে স্কুল থেকে ছুটি নেওয়া যাবে না বলেও জারি হয়েছে নির্দেশিকা সকাল৷ ১১ টার পর স্কুলে এলে রেজিস্টার লাল কালী পড়বে৷ বাতিল হবে উপস্থিতি৷ সকাল ১০টা ৫০ থেকে সাড়ে ৪টে পর্যন্ত মোট ৫ ঘণ্টা ৪০ মিনিট স্কুলে থাকতে হবে বলেও জারি হয়েছে বিজ্ঞপ্তি৷
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই স্কুলগুলিতে পাঠানো হয়েছে৷ সেখানে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী ২ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে এই বিধি কার্যকর হবে৷