কলকাতা: গত শুক্রবার ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই মামলার এদিন শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের ওপর আপাতত কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি হাইকোর্ট। বুধবার আবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
আজকের শুনানিতে আইনজীবী কিশোর দত্ত জানান, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বেশ কিছু বক্তব্য সিঙ্গেল বেঞ্চে রেখেছিল। সমস্তটাই বাতিল করা হয়েছে। কোনওটাকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বিচারপতি তালুকদার এই প্রসঙ্গে একাধিক প্রশ্ন করেন। জানতে চান, অ্যাপটিটিউড টেস্ট, প্রশিক্ষণ না থাকা, এই বিষয়ে বোর্ডের বক্তব্য কী? একটা নিয়োগ হল সেখানে নিয়ম মেনে টেস্ট হল না। সিঙ্গল বেঞ্চ তো সব ফেলে দেয়নি। আবার নতুন করে ইন্টারভিউতে আবেদনকারীদের অসুবিধা কোথায়? এই নিয়োগের সঠিক নিয়ম কী? এই বিষয়ে পর্ষদ আইনজীবী জানান, পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী কিছু সংরক্ষণ আছে। ২০১৪ সালে বিজ্ঞপ্তিতে এই সংরক্ষণের উল্লেখ ছিল। সেখানে আরও বলা হয়েছিল ট্রেনিং না থাকলেও নিয়োগ দেওয়া হবে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”আরও কতজন জড়িত এই দুর্নীতি কাণ্ডে? How many more involved in recruitment scam?” width=”853″>
এক্ষেত্রে বিচারপতি আরও প্রশ্ন করেন যে, অপ্রশিক্ষিতদের নিয়োগ দেওয়ার পর ট্রেনিং দেওয়া হল কোন নিয়মে। এই বিষয়ে চাকরিহারাদের আইনজীবী বলেন, যে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে তার স্বীকৃত শংসাপত্র আছে। গ্রেড বি হিসাবে নিয়োগ হওয়ার পর ট্রেনিং শেষ হলে গ্রেড এ-তে যাওয়া হয়। তাহলে তাদের দোষ কোথায়, জানতে চান তিনিও। এদিকে চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবীর বক্তব্য, হয়তো ৩২ হাজারের চাকরি গিয়েছে কিন্তু হাজার হাজার যোগ্য প্র্থী চাকরির জন্য রাস্তায় বসে আছে। লড়াইটা তাদের।