কলকাতা: এক দিকে চাকরি তে দূর্নীতির অভিযোগে এসএসসি প্রার্থীরা অনশনে বসছেন কলকাতায়, অন্য দিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মদের দোকানের লাইসেন্সর জন্য ভিড় করছেন উচ্চশিক্ষিত বেকাররা। ডবল এমএ, বিটেক,এমসিএ পাস যুবক-যুবতীরা ,যাদের বয়স ২৫ থেকে ৩১ এর মধ্যে, মদের দোকানের লাইসেন্সের জন্য দরখাস্ত করেছেন, এবং পাচ্ছেনও।
অনলাইনে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা জানাতে হয়, তাই সেখানে উঠে আসছে এই সব বিষয় গুলো। এমন উচ্চশিক্ষিতের আবেদন শুরু হয় গত তিন বছর ধরে। ২০১৮ সালে সেই সংখ্যা সর্বাধিক। এতো উচ্চশিক্ষিতরা আবেদন করায়, সেই আবেদন গ্রাহ্যও হচ্ছে, ফলত রাজ্যজুড়ে ব্যাঙ্গের ছাতার মতন গজিয়ে উঠছে মদের দোকান।
বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে, প্রাইমারী স্কুলের পাশে, মন্দিরের সামনে, হাসপাতালের পাশে এমন সমস্ত জায়গায় পড়ে উঠছে মদের ঠেক। হাতের কাছে সুলভে পাওয়ায় মদ্যপানের প্রবণতাও বাড়ছে হুহু করে। চিন্তিত এলাকাবাসী থেকে আবেদঙ্কারীদের অভিভাবক সকলেই। সকলেরি মতামত, রাজ্যজুড়ে চাকরী না থাকাতেই এই অবস্থা হচ্ছে সমাজের। ২০০৬ সালের পর রাজ্যজুড়ে অফ শপ মদের দোকানের লাইসেন্স বন্ধ করা হয়, ২০১৮ সালে তা আবার খোলা হয়েছে।গ্রামে গঞ্জে অসংখ্য চোলাইয়ের তৈরির ঠেক পাল্লা দিয়ে গজিয়ে উঠছে। শুধুমাত্র মদ থেকে রাজ্য সরকার গত বছর দশ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে।
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “সরকার এটা করতে চাইছে,চাকরি না দিয়ে মদের দোকানের লাইসেন্স দিয়ে, সমাজের ক্ষতি করছে, চাকরি না থাকার জন্যেই এই বিপজ্জনক প্রবণতার দিকে চলে যাচ্ছে তরুণ-তরুণীরা৷”