পাটনা: সহিংস প্রতিবাদ বা রাস্তা অবরোধ করে ধর্না? এসবে নাম জড়ালে আর মিলবে না সরকারি চাকরি৷ বিহার পুলিশের বিতর্কিত বিজ্ঞপ্তিতে তোলপাড় রাজ্য৷ নীতীশ কুমারের দিকে ধেয়ে এলে তীব্র কটাক্ষ৷ কড়া ভাষায় আক্রমণ শানায় বিরোধী শিবির৷ হিটলার, মুসোলিনির সঙ্গ তুলনা করে তুলোধোনা করা হল তাঁকে৷
আরও পড়ুন- কর্মসংস্থানের হারে ব্যাপক উন্নতি বাংলায়! পিছিয়ে ত্রিপুরা-কেরালাও, বলছে সমীক্ষা
বিহার পুলিশের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যাঁদের পথে নেমে বিক্ষোভ করতে দেখা যাবে, ধর্নায় বসতে দেখা যাবে বা যাঁরা রাস্তা আটকে প্রতিবাদে সামিল হবেন, তাঁরা আর সরকারি চাকরি পাবেন না৷ এমনকী তাঁদের সঙ্গে কোনও রকম সরকারি চুক্তিও করা হবে না৷ মঙ্গলবার বিহার পুলিশের ডিজিপি এসকে সিঙ্ঘলের জারি করা এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোনও আন্দোলন হিংসার রূপ নিলে সেই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের ক্যারেক্টার সার্টিফিকেটে বিষয়টি উল্লেখ করে দেবে পুলিশ৷
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরি, সরকারি মালিকাধীন মদের দোকানের আউটলেট, পাসপোর্ট কিংবা আগ্নেয়াস্ত্রের জন্য লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন মাস্ট৷ কিন্তু পুলিশি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘‘কোনও ব্যক্তি আইন-শৃঙ্খলা লঙ্ঘন, বিক্ষোভ, রাস্তা অবরোধের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে এবং এর জন্য পুলিশ চার্জ করা হলে তা বিশেষ করে সুস্পষ্ট ভাবে ক্যারেক্টার ভেরিফিকেশন রিপোর্টে উল্লেখ করে দেওয়া হবে৷ ফলে অভিযোগের দাগ লাগা এই ধরনের ব্যক্তিরা সরকারি চাকরি বা লাইসেন্স পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন৷ এর জন্য তাঁদের তৈরি থাকতে হবে৷’’
আরও পড়ুন- TET মামলায় ফের ধাক্কা! ‘আপনারা ছিনিমিনি খেলেছেন’, চরম ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট!
পাশাপাশি রাজ্য সরকার, মন্ত্রী, বিধায়ক বা কোনও আধিকারিকের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্ট করা হলেও কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে পুলিশের নির্দেশনায় বলা হয়েছে৷
বিহার পুলিশের এই সার্কুলার প্রকাশিত হতেই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন বিরোধী নেতারা৷ প্রধান বিরোধী দল আরজেডি তথা বিহার বিধানসভার বিরোধী দল নেতা তেজস্বী যাদব এই সার্কুলারের স্ক্রিন শট তুলে ধরে টুইট করেন৷ নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রীকে হিটলার, মুসোলিনির সঙ্গে তুলনা করেন লালু-পুত্র৷