নয়াদিল্লি: চারকি খোয়াতে বসা ত্রিপুরার ১০৩২৩ জন শিক্ষকের মামলা গ্রহণ করল দেশের শীর্ষ আদালত৷ সুপ্রিম কোর্টের আগের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে চাকরি খোয়াতে চলা শিক্ষকদের তরফে পিটিশন দাখিল করা হয়েছে সুপ্রিমকোর্টে৷ সব ঠিক ঠাক থাকলে আগামী ১৬ মার্চ এই মামলা শুনতে পারে দেশের শীর্ষ আদালত৷ বিচারপতি ইউইউ ললিত ও বিচারপতি বিনীত শরণের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা৷ সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ে করে চাকরি হারাতে বসা শিক্ষক বিজয়কৃষ্ণ সাহা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আজ সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি ইউইউ ললিত ও বিনীত শরণের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা গ্রহণ করেছে৷ আগামী ১৬ মার্চ শুনানির দিন ধার্য হয়েছে৷
কিন্তু, কেন এই পিটিশন? জানা গিয়েছে ২০১৪ সালে শিক্ষক নিয়োগ করে তৎকালীন বাম সরকার৷ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে দায়ের হয় মামলা৷ মামলা যায় দেশের শীর্ষ আদালতে৷ ত্রিপুরা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেয়৷ চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েন ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষক৷ পরে ওই শিক্ষকদের চাকরি বহাল রাখতে বাম সরকার ১৩ হাজার শিক্ষাকর্মীর পদ তৈরি করে৷ তাও সুপ্রিম কোর্ট ধাক্কা খায়৷ এই নিয়ে শুরু হয় নির্বাচনী যুদ্ধ৷ কাজ হারানোর আশঙ্কায় থাকা শিক্ষকদের পাশে দাঁড়িয়ে ঢালাও প্রতিশ্রুতি দেয় বিজেপি৷ কিন্তু, সরকার বদলের পর বিজেপি ওই ১৩ হাজার পদের নিয়োগ পাওয়া শিক্ষাকর্মীদের অনুমোদন না দেওয়ার কথা ঘোষণা করে৷ সুপ্রিম কোর্টের বিজেপি সরকার কিছুটা সময় প্রার্থনা করে৷ সুপ্রিম কোর্ট গতবছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষকদের বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়৷ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, এরপর আর কোনও আবেদন শোনা হবে না৷ আর তাতেই বাড়ে বিপত্তি৷
এরপর ত্রিপুরা হাইকোর্ট প্রদত্ত রায়ের অনুচ্ছেদ ১২৬ নিয়ে যাঁরা মামলায় পক্ষভুক্ত হন, তাঁদের চাকরি বাতিল হয়৷ বাকিদের চাকরি সুরক্ষিত থাকে৷ এবিষয়ে চাকরি হারানো শিক্ষকদের একাংশ মামলা করেন৷ কিন্তু সুপ্রিমকোর্ট তাঁদের ফিরিয়ে দেয়৷ পরে তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন৷ গত ৩ অক্টোবর ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় কারোল ও বিচারপতি অরিন্দম লোধের ডিভিশন বেঞ্চ সুপ্রিমকোর্টের রায় বহাল রাখেন৷ পরে আজ চাকরি খোয়ানো শিক্ষকদের তরফে ফের সুপ্রিমকোর্টে মামলা দায়ের করে রায় বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছে৷