ওয়াশিংটন: চোখ রাঙাচ্ছে করোনা৷ প্রাণ ভয়ে কাঁপছে গোটা বিশ্ব৷ প্রভাব পড়েছে ভারতে৷ করোনা পরিস্থিতি রুখতে ইতিমধ্যেই ২১ ঘোষণা লকডাউন ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার৷ কিন্তু লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরও এখনও থামেনি করোনার দাপট৷ লকডাইনের গেরোয় মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশের অর্থনীতি৷ একদিকে করোনার দাপট, অন্যদিকে ভেঙে পড়া অর্থনৈতিক, জোড়া সমস্যার এই পরিস্থিতির মধ্যেই চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ করল রাষ্ট্রপুঞ্জের অধীনস্থ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা৷
রাষ্ট্রপুঞ্জের শ্রম সংস্থা জানিয়েছে, করোনার জেরে তৈরি হওয়া পরিস্থিতির জেরে ভারতে কাজ হারাতে পারেন প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি মানুষ৷ ভারতে আরও প্রায় ৪০ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যেতে পারেন৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের অধীনস্থ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার রিপোর্টে সাফ জানানো হয়েছে, উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলি চরম আর্থিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারে৷ এর সরাসরি প্রভাব পড়বে শ্রমিক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে৷ সবথেকে বেশি মার খেতে পারে ছোট ছোট সংস্থাও৷ এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে জোট বেধে লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জ৷
ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, শুধুমাত্র ভারতেই অসংগঠিত ক্ষেত্রে প্রায় ৯০ শতাংশ শ্রমিক অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়বেন৷ ইতিমধ্যেই লকডাউনের জেরে কাজ হারিয়েছেন ভিন রাজ্য কেয়ক লক্ষ শ্রমিক৷ আপাতত তাঁদের কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে বটে৷ কিন্তু, ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পর্ব শেষ হওয়ার পর কীভাবে চলবে তাঁদের সংসার? সমাধান এখনও অধরা৷
অন্যদিকে লকডাউনের জেরে মার্চ মাসেই বেকারত্বের হার রেকর্ড ছুঁয়েছে৷ সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে জানিয়েছে, শুধু মার্চের লকডাউনের জেরে কর্মসংস্থান হার নেমেছে ৩৮.২ শতাংশ৷ রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, দেশে শ্রমবণ্টনের হার মার্চ মাসে ৪১.৯ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ৪২.৬ শতাংশ। তার মানে লকডাউনের আগে থেকে শ্রমবণ্টনের হার কমতে শুরু করেছিল৷ বেকারত্বের এই পরিসংখ্যান গত ৪৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ, বলছেন অর্থনীতিবিদরা৷