কলকাতা: কর্মীদের ফাঁকিবাজি এড়াতে ও নজরদারি বাড়াতে নয়া উদ্যোগ নিল রাজ্য খাদ্য দপ্তর৷ চালু হল বায়োমেট্রিক হাজিরা৷ এখন থেকে খাদ্য দপ্তরের অধিকাংশ কাজই হবে অনলাইনে৷ জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷
পুরানো ফাইল অনেক সময় নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে৷ তাই এখন থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, পুরানো ফাইলগুলিকে স্ক্যান করিয়ে অনলাইনে আপলোড করে রাখা হবে৷ করা হবে সংরক্ষণ৷ যাতে পরবর্তী সময়ে ফাইলগুলি যথাযথভাবে খুঁজে পাওয়া যায়৷ নতুন খাদ্য ভবন চালু হওয়ার পর কম্পিউটার ব্যবহারে জোর দেওয়া হয়েছে৷ কর্মীদের ওপর নজরদারি বাড়াতে করা হয়েছে বায়োমেট্রিক হাজিরা৷ নতুন ভবনে কাজে যোগ দিতে হলে যন্ত্রে আঙ্গুল রেখে জানাতে হবে উপস্থিতি৷ আপাতত নতুন ভবন এই ব্যবস্থা চালু হলেও ধাপে ধাপে বাংলার সমস্ত খাদ্য দপ্তরের অফিসগুলিতে এই ব্যবস্থা চালু হবে বলে আশাবাদী মন্ত্রী৷ নয়া এই ব্যবস্থা চালু হলে কর্মীদের যাতাযাতের সময় ও নজরদারি বাড়াতে পারবে কর্তৃপক্ষ৷ ফলে, অফিস টাইমের মাঝপথে ছুটি নেওয়ার প্রবণতা কমবে৷
শুক্রবার নবান্ন থেকে খাদ্য ভবনের উদ্বোধন করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ৫৬ কোটি টাকা খরচে নির্মিত হয়েছে সাত তল ভবন৷ ৫ বছর ধরে তৈরি হয়েছে এই ভবন৷ নতুন দপ্তর পেয়ে খুশি কর্মীরাও৷