হওড়া: প্রশিক্ষণ থাকলেও মেলেনি প্রশিক্ষণের স্বীকৃতি৷ আর তাতেই বর্ধিত বেতন পাওয়ার ক্ষেত্রে বিপাকে পড়েছিলেন বহু শিক্ষক৷ এই সেই সদ্য প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের জন্য সুখবর দিয়ে অপশন ফর্ম ও ফিক্সেশনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করল ডিআই অফিস৷
২০১৬ সালে নিয়ম অনুযায়ী, শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তরে ৫০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে৷ তার ফলে সাড়ে তিন হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা বিএড প্রশিক্ষণের সুযোগ হারান৷ কিন্তু সেই প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও বেতন বাড়ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন ডিএলএড শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ৷
লোপা রুল ২০১৯-এর অধীনে বিশেষত এই শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের অপশন ও ফিক্সেশন ফর্ম জমা করার জন্য হাওড়া জেলার স্কুলগুলিকে নির্দশিকা পাঠালেন হাওড়া জেলা পরিদর্শক৷ এর জন্য শিক্ষকদের থেকে বেশ কিছু নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, ১. প্রধান শিক্ষক কারা যথাযথভাবে স্বাক্ষরিত অপশন ফর্ম (সংযুক্ত ২)। ২. প্রধান শিক্ষক কারা যথাযথভাবে স্বাক্ষরিত ফিক্সেশন (সংযুক্ত ৩)। ৩. অনুমোদিত নিয়োগপত্রের অ্যাটেস্টেড ফটোকপি। ৪. ডেথ অফ অপশন অনুসারে অনলাইনে তৈরি মাসিক পে স্লিপ। ৫. বেতন কাঠামো পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে ১/০১/১৬ থেকে ২৫/০৯/১৯ (পে স্লিপ-এর সঙ্গে বেতনে গড়মিল)এই সময়কালের মধ্যে কর্মক্ষেত্র ১০,১৮ অথবা ২০ বছর সম্পন্ন করে পদোন্নতি হলে, ইনক্রিমেন্ট না হয়ে থাকলে, ফিক্সেশনে কোনো ত্রুটি থাকলে ও এই সংক্রান্ত অন্যান্য অসুবিধের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত অতিরিক্ত ডকুমেন্টগুলি জমা করতে হবে। ৬. প্রধান শিক্ষক কর্তৃক যথাযথ স্বাক্ষরিত এই সংক্রান্ত নথির অনুলিপি। ৭. ১৮ বছরে পুনর্গঠন/পদোন্নতি/সুবিধা ছাড়াও প্রশিক্ষণ না থাকায় ভুল ফিক্সেশন/ইনক্রিমেন্ট বন্ধ থাকলে, সেই সংক্রান্ত অনুমোদিত অনুলিপি। ৮. উন্নতিকরনের জন্য ফিক্সেশনের অনুলিপি। ৯. বেতন পুনর্গঠন এর সঙ্গে যুক্ত এমসি রেজোলিউশন এর অনুলিপি। ১০. বেতন পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকের সার্টিফিকেট জমা করাতে৷