কলকাতা: রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালেও করানো হয় নার্সিং কোর্স। এবার বেসরকারি নার্সিং স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোগ নিল নার্সিং শিক্ষার সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। ইতিমধ্যেই তারা ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিলের কাছে এই বিষয়ে আবেদন করেছে।
চলতি বছরেই অনেকগুলি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নার্সিং স্কুল খুলতে চলেছে। বর্তমানে বহু শিক্ষার্থীই নার্সিং পেশায় আসতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের অভাবে তাতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছিল। নার্সিং-এর জন্যে রাজ্যের বাইরে থেকে বহু কর্মীদের নিয়ে আসতে হত। এবার এই সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের তরফে। কেরল, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ত্রিপুরা, মণিপুর থেকে এ রাজ্যে একাধিক নার্স নিয়োগ করা হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতেই দেখা গেছে এদের অনেকেই কাজে ইস্তফা দিয়ে নিজ রাজ্যে ফিরে গেছেন। ফলে রাজ্যে এ পেশায় ঘাটতি দেখা গেছে। তাই বর্তমানে রাজ্যে নার্সিং এর সুযোগ রয়েছে, এই কথা মাথায় রেখেই বেসরকারি ক্ষেত্রকে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নার্সিং কাউন্সিল সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গে মোট ৩২টি নার্সিং কলেজ আছে, সেখানে মাত্র ১৩টি সরকারি এবং ১৯টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। বিএসসি, পোস্ট বেসিক বিএসসি, এমএসসি-র মতো ডিগ্রি কোর্সগুলি এখানে করানো হয়ে থাকে। নার্সিং স্কুলের ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৮৪। যেখানে জিএনএম কোর্সের পাশাপাশি এএনএম কোর্সও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে করানো হয়। জানা গেছে চলতি বছরে আরও ৬ থেকে ৭টি নার্সিং স্কুল ও কলেজ খোলা হবে।
আরএন টেগোর হাসপাতালের এক মুখপাত্রের কথায়, তাদের হাসপাতালে জিএনএম, বিএসসি, এমএসসি, এএনএম ইত্যাদির সঙ্গে নিউরো, ক্রিটিকাল কেয়ার, কার্ডিয়াক কেয়ারের মতো স্পেশালাইজড কোর্সও করানো হয়। এর সঙ্গেই এই প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ করে দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারি চাকরি পেলে তাঁরা চলে যান, তাই সমস্যায় পড়তে হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। কলকাতা মেডিকেল কলেজের নার্সিং বিভাগের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মানসী জানা বলেছেন, ‘রাজ্যে নার্সিং-এর সুযোগ আছে তাই এই উদ্যোগ কার্যকরী করা দরকার। এর ফলে ঘাটতি কমবে।’