কলকাতা: প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের নিয়মে রদবদল৷ একাধিক নিয়মের পরিবর্তন আনল কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (NCTE)। নয়া নিয়ম অনুসারে, এবার থেকে স্নাতক স্তরে ৫০ শতাংশ নম্বর না থাকলেও প্রাথমিক টেট পরীক্ষার জন্য আবেদন করা যাবে৷ তবে এর জন্য স্নাতকোত্তর স্তরে বি.এড সহ ৫৫ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে৷
আরও পড়ুন- প্রকাশিত JEE অ্যাডভান্সের ফল, IIT প্রবেশিকা পরীক্ষায় রেকর্ড নম্বর পেয়ে প্রথম মৃদুল
পাশাপাশি বলা হয়েছে, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির এডুকেশন এবং শারীরশিক্ষার শিক্ষক পদের জন্য স্নাতকোত্তরে ৫৫% নম্বর এবং ৩ বছরের ইন্ট্রিগ্রেটেড বি.এড-এম.এড প্রশিক্ষণ থাকলেও আবেদন করা যাবে। প্রসঙ্গত, এতদিন পশ্চিমবঙ্গে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত টেট নেওয়া হত৷ এবার দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত টেট নেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশন।
আমাদের রাজ্যে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বাধ্যতামূলকভাবে টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট বা টেট নেওয়া হয়। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত টেট নেওয়ার দায়িত্ব প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত টেট নেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। নবম শ্রেণি থেকে টেট হয় না। পাশাপাশি বিষয় কেন্দ্রীক পরীক্ষার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ করে থাকে এসএসসি। তবে নয়া নিয়মে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত টেটে চালু হতে পারে৷ সম্প্রতি এনসিটির তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির আওতায় দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত টেট বা কেন্দ্রীয় টেট নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
গত মাসেই প্রাথমিক শিক্ষা কাউন্সিলে বড়সড় রদবদল ঘটানো হয়েছে৷ একসঙ্গে ২১টি জেলার প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান পদে বদল আনা হয়৷ অন্যদিকে, প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে চাপে রয়েছে রাজ্য৷