কলকাতা: প্রতিশ্রুতি মিলেছিল৷ কিন্তু চাকরি পাননি নবম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত ওয়েটিং লিস্টে থাকে এসএসসি’র প্রার্থীরা৷ এর প্রতিবাদে ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে এদিন শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান ও ধর্নার কর্মসূচি নিয়েছিলেন এসএসসি চাকরি প্রার্থীরা৷ কিন্তু সেই কর্মসূচির শুরুর আগেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রার্থীদের আটক করল পুলিশ৷ পুলিশি বাধার মুখে ভেস্তে যায় তাঁদের কর্মসূচি৷ তাঁদের তোলা হয় পুলিশ ভ্যানে৷
আরও পড়ুন- করোনা অতিমারি রুদ্ধ করবে মহিলাদের কেরিয়ারের গতি, বলছে সমীক্ষা
এদিন গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান করতেই দেওয়া হল না এসএসসি’র চাকরি প্রার্থীদের৷ ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড থেকেই তাঁদের আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়৷ গান্ধী মূর্তির পাদদেশ জুড়ে বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে৷ কোনও ভাবেই অবস্থানে বসতে দেওয়া হবে না তাঁদের৷ ধর্মতলা বাস স্ট্যানড ও প্রেস ক্লাবের সামনে প্রচুর সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন রয়েছে৷ এই অবস্থানে যোগ দিতে আসছেন বোঝা মাত্রই চাকরি প্রার্থীদের তৎক্ষণাৎ আটক করা হচ্ছে৷
চাকরি প্রার্থীদের বক্তব্য, তাঁরা চাকরিতে পাশ করেছে, তাঁদের মেধা রয়েছে, মেরিট লিস্টে নাম রয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর নিজে তাঁদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে তাঁদের একটাই আর্জি, চাকরি দিন৷ কিন্তু এদিন তাঁদের ধর্নায় বসতেই দিল না রাজ্য সরকার৷ পুলিশ দিয়ে তাঁদের কণ্ঠরোধ করা হল৷ গণতান্ত্রিক ভাবে শান্তিপূর্ণ পথে তাঁরা আন্দোলন করার পরেও পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হল এসএসসি’র ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরি প্রার্থীদের৷
সরকারের তরফ থেকে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেই নির্দেশই পালন করেছে পুলিশ৷ অভিযোগ, সরকার চায় না চাকরির দাবিতে রাজপথে কোনও আন্দোলন হোক৷ চাকরি প্রার্থীদের বক্তব্য, সাব্তিপূর্ণ অবস্থানে বসার অনুপতিপত্র থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তাদের আটক করেছে৷ অভিযোগ, দীর্ঘদিন এসএসসি হয়নি৷ আসন সংখ্যা আপডেট হয়নি৷ বিভিন্ন দিক থেকে তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছে৷ রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশনের ইতিহাসে এত দীর্ঘ অপেক্ষা এর আগে কখনো কোনও প্রার্থীকে করতে হয়নি। নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত হয়। তারপর দীর্ঘ এক বছর টালবাহানা করে কোনও আপডেট ভ্যাকেন্সি ছাড়াই মেরিট লিস্ট প্রকাশিত হয়।
আরও পড়ুন- ২০০০ শূন্যপদে অফিসার নিয়োগ করছে SBI, শুরু আবেদন অনলাইন
অন্যদিকে, স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তির দাবিতে কলকতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা৷ সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার ব্যবস্থা করে অবিলম্বে তাঁদের ভর্তি নেওয়ার দাবি তোলেন তাঁরা৷ নভেম্বর মাসের মধ্যেই তাঁদের সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেওয়ার দাবি তুলেছেন পড়ুয়ারা৷ ৬ নভেম্বর থেকে এই আন্দোলন শুরু হয়েছে৷ ইউজিসি’র গাইডলাইন মেনে সকল ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষা ও ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে, তাঁদের দাবি৷