নয়াদিল্লি: প্রথম দফায় ক্ষমতায় আসার আগে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি৷ বছরে দু’কোটি কর্মসংস্থানেরও প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন মোদি৷ কিন্তু, ক্ষমতায় ফিরে গত পাঁচ বছরে সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেননি মোদি৷ এবার দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে সেই লক্ষ্য পূরণ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, কর্মসংস্থান লক্ষ্যমাত্রা পূরণ ও দেশের আর্থিক বৃদ্ধির লক্ষ্য পৃথক কমিটি গঠনের নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ কর্মসংস্থান সংক্রান্ত কমিটিতে থাকছেন ১০ সদস্য প্রধিনি দল৷ অর্থনীতিতে ৫ জন সদস্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ পৃথক দুই কমিটির মাথায় থাকছেন মোদি৷ কর্মসংস্থান সংক্রান্ত কমিটির সদস্য তালিকায় রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ থাকছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন৷ রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল৷ এছাড়াও নরেন্দ্র সিং তোমার থেকে শুরু করে রমেশ পোখরিয়ালকে রাখা হয়েছে৷ তালিকায় রয়েছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান৷ মহেন্দ্রনাথ পান্ডে ও সন্তোষ কুমার গঙ্গোয়ার, হরদীপ সিং পুরিকেও রাখা হয়েছে ওই কমিটিতে৷
১৯৭২-৭৩ সাল থেকে এ যাবৎ বেকারত্বের হার সব থেকে বেশি ছিল মোদি জমানায়, ২০১৭-১৮ সালে। জাতীয় স্যাম্পেল সার্ভে অর্গানাইজেশনের সমীক্ষার মতে, ওই বছরে বেকারত্বের হার ছিল ৬.১ শতাংশ। এ দিন ওই পরিসংখ্যান প্রকাশ করলেও সরকারের মুখ্য পরিসংখ্যানবিদ প্রবীণ শ্রীবাস্তব সতর্ক করে বলেন, বেকারত্বের এই হারকে পূর্বের কোনও বছরের পরিসংখ্যানের সঙ্গে তুলনা করা ঠিক হবে না। কারণ, বেকারত্বের হার নির্ণয় করার পদ্ধতি বদল করা হয়েছে। তাই সবটাকে নতুন প্রেক্ষিতে দেখা প্রয়োজন। পাশাপাশি অন্য একটি পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, গত আর্থিক বছরের শেষ তিন মাসে বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৮ শতাংশ। যা গত ১৭ মাসের মধ্যে সব থেকে কম। এই পরিসংখ্যান প্রকাশের পর এও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে বৃদ্ধির হারে চিনের কাছে পিছিয়ে পড়েছে ভারত। চিনের বৃদ্ধিই এখন সব থেকে দ্রুত হারে বাড়ছে৷ এই সমীক্ষার মোদি সরকারের গঠনের সিদ্ধান্ত বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷