কলকাতা: যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে একাধিক বার রাজপথে নেমেছেন রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ৷ রাজপথে দাবি জানাতে গিয়ে পুলিশি তাণ্ডবেরও শিকার হতে হয়েছে শিক্ষকদের৷ জলকামান থেকে গ্রাপ্তারি কিছুই বাদ যায়নি৷ পুলিশে ভূমিকা নিয়ে আগেই সবর হয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ৷ যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন না পেয়ে দিনে দিনে ক্ষোভ আরও তীব্র হচ্ছে শিক্ষকদের৷ এবার এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে শিক্ষক বিদ্রোহের আগুনে কিছুটা হলেও জল ঢালার চেষ্টা করলেন রাজ্য শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ প্রাথমিক শিক্ষক-সহ কম্পিউটার শিক্ষক সমস্যা থেকে এমএসকে, এসএসকে শিক্ষকদের জন্য দরাজ সার্টিফিকেট শিক্ষামন্ত্রীর৷
প্রাথমিক শিক্ষকরা গ্রেড বৈষম্য নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এবার ওঁদের গ্রেট বৈষম্য মিটবে৷’’ কিন্তু, কবে? তা আবশ্য জবাব দেননি শিক্ষামন্ত্রী৷ কম্পিউটার শিক্ষকদের সম্পর্কে পার্থ বাবু জানান, ওদের অনেক দাবিদাওয়া আছে৷ সরাসরি তাঁদের চাকরি আমরা দিইনি৷ বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে এরা কাজ পেয়েছেন৷ আমরা চাই না স্কুলে কম্পিউটার বন্ধ হোক৷ সংস্থাগুলি যদি এঁদের ভাতা বাড়াতে না পারে তখন সরকার ভেবে দেখবে৷
তিনি বলেন, এসএসকে ও এমএসকে নিয়ে তিন চার দিনের মধ্যেই সমস্যা সমাধান হবে৷ খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে৷ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান৷ গেস্ট লেকচারারদের সম্পর্কে পার্থ বলেন, এঁরা সরাসরি সরকারের দ্বারা নিযুক্ত নন৷ বিভিন্ন কলেজে নিজেদের মতো লেকচারার নিয়োগ করে৷ যাঁদের ইউজিসি সার্টিফিকেট আছে, তাঁদের জন্য এক রকম৷ আর যাদের নেই তাঁদের জন্য অন্য রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যদি দেখা যায়, যাদের ইউজিসি সার্টিফিকেট নেই তাহলে আপাতত কিছু করা যাবে না৷ যাঁদের আছে তারা সুযোগ পাবেন৷