কলকাতা: শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের জন্য সংশোধিত বেতন কাঠামো সহ ষষ্ঠ পেকমিশন কার্যকর হলো নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই৷ ইতিমধ্যেই সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলির শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য পৃথক রিভিশন অ্যান্ড পে অ্যালাওয়েন্স (রোপা) ২০১৯ বিধি প্রকাশিত হয়েছে ৷ নতুন বেতন কাঠামো অনুসারে বেতন নির্ধারণের জন্য ১৩ ই ডিসেম্বর থেকে অপশন ফর্ম ফিলাপের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে, চলবে ১২ মার্চ পর্যন্ত৷
অথচ এই সংশোধিত বেতন কাঠামোয় রাজ্যে প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক আছেন যাদের টিজিটি স্কেল ও ৪৬০০ গ্রেড পে সহ বেশ কিছু বিষয় এখনও পরিষ্কার নয়৷ পাশাপাশি প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে তাঁদের বেতন নির্ধারণের বিষয়ে পৃথক কোনো উল্লেখ না থাকায় তীব্র ক্ষোভ জন্মেছে৷
অন্যদিকে নতুন পেককমিশনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্যেরও কোনো সংশোধন হয়নি৷ থেকে গেছে৷ অল বেঙ্গল টিচার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স্বপন মন্ডলের মতে, যেহেতু অপশন ফর্ম জমা দিতে তিনমাস সময় দেওয়া হয়েছে সেক্ষেত্রে বেতন বৈষম্য সহ ন্যায্য দাবিগুলি সরকার না মানা পর্যন্ত প্রতিবাদ স্বরূপ বঞ্চিত প্রাথমিক শিক্ষক ও গ্র্যাজুয়েট তথা সিনিয়র শিক্ষকদের এই অপশন ফর্ম ফিলাপ থেকে বিরত থাকা উচিত৷ এক্ষেত্রে সাময়িক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হলেও ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত হবে৷
পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য বেতন বৃদ্ধি অর্থাৎ ১০-১৩-র পরিবর্তে ২১-২৫ করার আবেদন জানিয়েছেন স্বপনবাবু৷ পাশাপাশি তাদের নিয়মিত শিক্ষক হওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় সংরক্ষণের বিষয়ে মত প্রকাশ করেছেন তিনি৷ শিক্ষাকর্মীদের বেতন কাঠামো ও পদাধিকার বিষয়েও সোচ্চার হয়েছেন তিনি৷ একইসঙ্গে তাদের বেতন, ইনক্রিমেন্ট এবং পদমর্যাদা বৃদ্ধির পক্ষে জোরদার সওয়াল করেছেন৷