কলকাতা: সরকারি কর্মচারী মানেই কি অর্থনৈতিকভাবে নিশ্চিন্ত জীবন? অবসর গ্রহণের পরেও কি আর্থিক নিশ্চয়তা? কিন্তু, তা এখন কার্যন্ত প্রশ্নের মুখে! বাম আমলে অবসর গ্রহণের পর পেনশন চালু হতে বছর ঘুরে যেত বলে ওঠে অভিযোগ৷ বর্তমান তৃণমূল সরকারের আমলে পেনশন ব্যবস্থা যথেষ্ট গতি পেয়েছে৷ কিন্তু কাজে গতি এলেনও সরকারি কর্মীদের একাংশের ‘উদাসীনতায়’ কার্যত নাকাল অবসর প্রাপ্ত কর্মীদের বড় অংশ৷
গত বছর অক্টোবর মাসে রাজ্য সরকারের বর্তমান সদর দফতর নবান্ন সূত্রে বলা হয়, এজি নয় সংশ্লিষ্ট দফতরই এখন থেকে বর্দ্ধিত হারে পেনশনের গণনা করবে৷ অথচ চলতি মাসের ২১ তারিখে রাজ্যের অর্থ দফতর দ্বিতীয় নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট দফতর নয়, এজিই দেখবে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের বর্ধিত হারে পেনশনের বিষয়টি৷
মাত্র কদিনের ব্যবধানে সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বদলে বিভ্রান্তির মুখে অবসর নেওয়া কর্মচারীদের একাংশ৷ এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারী কর্মচারী আন্দোলনের এক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, পরপর দুটি বিজ্ঞপ্তি আসলে সরকারি কূটনীতি ছাড়া কিছু নয়৷ আসলে সরকার চাইছে এইভাবেই অবসর প্রাপ্ত কর্মীদের নায্য পাওনা বঞ্চিত করে ওই টাকা সরকারের পছন্দের অন্য কোনও খাতে ব্যয় করতে৷
গত ২১ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালের পর যেসব রাজ্য সরকারি কর্মচারী অবসর নিয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে অবসরকালীন ভাতা, ফ্যামিলি পেনসন ও গ্রাচুয়িটিতে বিশেষ সংশোধন কার্যকর হবে৷ পেনশন প্রকল্পে অর্থ দপ্তরে অবদানের ক্ষেত্রে এই সংশোধন দ্রুত কার্যকর হবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে৷ যেসব পেনশনভোগীরা সংশোধিত বেতন কাঠামোতে আসার পর পশ্চিমবঙ্গ রোপা শর্তানুসারে বেসিক পেনশনের সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ৪০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবেন৷ যা ওই কর্মচারীর অবসর গ্রহণের দিন থেকে কার্যকর হবে৷