তৃণমূল কর্মীদের উপর লাঠিচার্জে নিষেধ মমতার, রাস্তায় ফেলে কেন মার শিক্ষকদের?

চোপড়া: বেতন বৃদ্ধির দাবি জানাতে গিয়ে রাজপথে ফেলে শিক্ষকদের পিটিয়েছে পুলিল৷ পুলিশের লাঠির আঘাতে জখম হয়েছিলেন ৩৭ জন শিক্ষক৷ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ১১ জন৷ ৮ কম্পিউটার শিক্ষকের ঘাড়ে ঝুলছে মামলা৷ বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে যখন রাজপথে পুলিশের লাঠির বাড়ি খেতে হয় শিক্ষকদের, ঠিক তখনই লোকসভা নির্বাচনের প্রচার-মঞ্চ থেকে পুলিশকে তৃণমূল সমর্থকদের উপর লাঠিচার্জ করতে নিষেধ করলেন

fce9c889ec08d4233abb454e3cdcecb1

তৃণমূল কর্মীদের উপর লাঠিচার্জে নিষেধ মমতার, রাস্তায় ফেলে কেন মার শিক্ষকদের?

চোপড়া: বেতন বৃদ্ধির দাবি জানাতে গিয়ে রাজপথে ফেলে শিক্ষকদের পিটিয়েছে পুলিল৷ পুলিশের লাঠির আঘাতে জখম হয়েছিলেন ৩৭ জন শিক্ষক৷ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ১১ জন৷ ৮ কম্পিউটার শিক্ষকের ঘাড়ে ঝুলছে মামলা৷ বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে যখন রাজপথে পুলিশের লাঠির বাড়ি খেতে হয় শিক্ষকদের, ঠিক তখনই লোকসভা নির্বাচনের প্রচার-মঞ্চ থেকে পুলিশকে তৃণমূল সমর্থকদের উপর লাঠিচার্জ করতে নিষেধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়৷

বুধবার মমতার সভা দেখতে আসা জনতার ভিড় উপচে পড়ে চোপড়ায়৷ ভিড়ের চাপে কিছুটা বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে৷ পদপৃষ্ঠ হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়৷ তৃণমূল সমর্থকদের বাগে আনতে লাঠি চালাতে উদ্যত হয় পুলিশ৷ তৃণমূল কর্মীদের উপর পুলিশ লাঠি উঁচু করতেই রেখে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ বক্তব্য থামিয়ে পুলিশকে ধমক দেন মমতা৷ মঞ্চে দাঁড়িয়ে পুলিশকে জানিয়ে দেন, ‘ওদের উপর লাঠিচার্জ করবেন না৷’’ বক্তব্য থামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বলেন, ‘‘আরে পদপিষ্ট যান না হয়৷ আস্তে আস্তে৷ এই ভাই, লাঠি চালাবেন না প্লিজ৷ পুলিশ শান্ত শান্ত শান্ত৷ ভিড় আছে ঠিক আছে৷ ভিড় মানুষের আর্শিবাদ৷ আমি আপনাদের বলব, আস্তে আস্তে৷’’ এরপরই পুলিশ ও তৃণমূল সমর্থকদের শান্তি হতে আর্জি জানান মমতা৷ বলেন, ‘‘ভিড় বেশি হয়ে গিয়েছে৷ আমি খুশি৷’’

কিন্তু, জনসভা থেকে পুলিশকে লাঠি না চালানোর মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি ঘিরে ক্ষোভে ফুঁসছেন কম্পিউটার শিক্ষকদের একাংশ৷ তাঁদের দাবি, বেতন বৃদ্ধির দাবি জানাতে গিয়ে যখন পুলিশের মারে ৩৭ জন জখম হলেন, তখন কেন ঠিক এভাবে পুলিশকে নির্দেশ দিলেন না মুখ্যমন্ত্রী৷ কেন এই ঘটনার নিন্দা জানালেন না তিনি? পুলিশি তাণ্ডবের আট দিন কেটে গেলে এখনও কেন ৮ কম্পিউটার শিক্ষকের উপর থেকে মামলা তুলে নিচ্ছে না পুলিশ? প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষকদের একাংশ৷

গত ২ এপ্রিল আইএল ও এফএস অফিসের সামনে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ করেন কম্পিউটার শিক্ষকদের একাংশ৷ পুলিশ ভয়ানক লাঠিচার্জ করে৷ জখম হন ৩৭ জন৷ পুলিশ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে৷ ৩ এপ্রিল তাঁদের ব্যঙ্কশাল কোর্টে জামিন হয়৷ আরও ৮ জনের নামে মামলা দেয় পুলিশ৷ গোটা রাজ্যজুড়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়৷ পরে সমস্যা সমাধানে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন আন্দোলনকারীরা৷ শিক্ষকরা শিক্ষামন্ত্রী বাড়িতে যান৷ কম্পিউটার শিক্ষকদের জন্য ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী৷ মুখ্যমন্ত্রীকে কম্পিউটার শিক্ষকদের কথা জানানো হবে বলেও জানান তিনি৷ তবে আইসিটি প্রজেক্টের অন্তর্গত কম্পিউটার শিক্ষকরা শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে থেমে থাকতে চান না৷ শিক্ষকদের উপর থেকে মামলা তোলার দাবি জানানো হলেও শিক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, পুলিশ তাঁর হাতে নেই৷ ফলে, মামলা উঠছে না৷ এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন শিক্ষকদের একাংশ৷ শিক্ষকদের অভিযোগ, পুলিশ বিভিন্ন ভাবে শিক্ষকদের উপরে শারীরিক ও মানসিক এবং পেশাগত অত্যাচার চালাচ্ছে৷ শিক্ষক আন্দোলনে পুলিশের অত্যাচার ও একাধিক মামলার প্রতিবাদে কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় মৌন মিছিল করারও ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *