কলকাতা: বিশ্ব যুব দিবস উপলক্ষ্যে বড়সড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ টুইটারের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ভর্তুকিযুক্ত ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি বাংলার চাকরিপ্রার্থীদের স্বপ্ন বাস্তাবায়িত হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
বাংলার কর্মংস্থান নিয়ে আজ টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার যুব সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷ সরকার কর্মসাথী নামের একটি নতুন প্রকল্প চালু করেছে৷ এই প্রকল্পে এক লক্ষ বেকার যুবক যুবতীকে সাবলম্বী করে তুলতে স্বল্পসুদে ঋণ ও ভর্তুকি দিচ্ছে৷ যেখানে ভারতে বেকারত্বের হার সর্বকালীন সর্বাধিক ২৪% এসে দাঁড়িয়েছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে৷ অতীতে বহুবার বাংলার তরুণ প্রজন্ম দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছে৷ ভবিষ্যতেও সেই ধারা বজায় থাকবে৷ যুব সম্প্রদায়ের জন্য আমরা গর্বিত৷ তাঁরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। এই নতুন প্রজন্মের হাত ধরে দেশে চলবে৷ এরা প্রতিভাবান, দক্ষ, কর্মঠ৷ তাঁদের আজ স্বপ্ন ভবিষ্যতে বাস্তবে পরিণত হবে৷’’
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কার্যত বোঝানোর চেষ্টা করেছেন দেশের বেকারত্বের হার বাড়লেও রাজ্যে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে৷ গত ২১ জুলাই ভার্চুয়াল সমাবেশ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকার ১ কোটি ৩৬ লক্ষ বেকার যুবক যুবতীকে কর্মসংস্থান দিয়েছে৷ রাজ্য ৪০% বেকারত্ব কমেছে৷ আজ যুব দিবসেও সেই একই বার্তা কার্যত ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তার টুইটারে বড় আশ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করলেও রাজ্যের কর্মসংস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন চাকরিপ্রার্থীদের বড় অংশ৷ কেননা দীর্ঘ ৭ বছর ধরে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জটিলতা তৈরি হয়েছে৷ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ কবে হবে তা এখনও অনিশ্চিত৷ টেট পরীক্ষার আবেদন জমা নেওয়ার তিন বছর পরও পরীক্ষার দিনক্ষণ ও শূন্যপদ কত তা এখনও ঘোষণা হয়নি৷ এছাড়াও কলেজ সার্ভিস কমিশন থেকে শুরু করে পাবলিক সার্ভিস কমিশন, রাজ্যে সরকারের বিভিন্ন দফতরে প্রায় ৩৬ হাজার শূন্যপদে কবে নিয়োগ হবে সে নিয়েও কোনও সুনির্দিষ্ট আলো দেখতে পারেননি চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ আর তাতেই চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে বাড়ছে উৎকন্ঠা৷