ফিরে দেখা ১৬ বছরের শিক্ষক নিয়োগের ইতিহাস!

কলকাতা: নির্বাচনের আগে শিক্ষক নিয়োগের গতি বাড়াতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমনিশন৷ কিন্তু, শূন্যপদ ও নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে তীব্র বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রীর বিবৃতির সঙ্গে কমিশনের দেওয়া তথ্য বিস্তর পার্থক্য রয়েছে বলে এবার অভিযোগ তুললেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের৷ পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমান ‘মা-মাটি-মানুষে’র সরকারের তুলনায় বেশি মাত্রায় শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল বাম আমলে৷ স্কুল সার্ভিস

ফিরে দেখা ১৬ বছরের শিক্ষক নিয়োগের ইতিহাস!

কলকাতা: নির্বাচনের আগে শিক্ষক নিয়োগের গতি বাড়াতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমনিশন৷ কিন্তু, শূন্যপদ ও নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে তীব্র বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রীর বিবৃতির সঙ্গে কমিশনের দেওয়া তথ্য বিস্তর পার্থক্য রয়েছে বলে এবার অভিযোগ তুললেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের৷ পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমান ‘মা-মাটি-মানুষে’র সরকারের তুলনায় বেশি মাত্রায় শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল বাম আমলে৷

স্কুল সার্ভিস কমিশন তথ্য বলছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে শিক্ষকের শূন্য পদের মোট সংখ্যা ৩৩ হাজার ৮২৯। কিন্তু, তথ্য বলছে, ২০১৭ সালে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য ১০ হাজার ২৩৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করা হবে বলে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল স্কুল শিক্ষা দপ্তর৷ দুই বছর পরে সেই শূন্য পদের সংখ্যা সাড়ে চার হাজার কমিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ ১০ হাজার ২৩৩ জনের মধ্যে মাত্র ৫ হাজার ৭১১ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার নিয়োগ তালিকা চূড়ান্ত করে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ গত ১৫ জানুয়ারি কমিশন যে তথ্য দিয়েছে, সেখানেও এই সংখ্যক শিক্ষককে একাদশ-দ্বাদশে নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে৷

সব মিলিয়ে গত সাত বছরে এসএসসির মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছে ৩১ হাজার ৪৪৭। বামফ্রন্ট সরকারের শেষ সাত বছরে এসএসসির মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছে ৯৩ হাজার ১৬৫। স্কুল সার্ভিস কমিশনের তথ্য বলছে, ২০০৪ সালে ৮ হাজার ৬৮৫ জনের চাকরি হয়েছে। ২০০৫ সালে হয়েছে ১৪ হাজার ২৬৭ জনের। বামফ্রন্ট সরকারের শেষ পাঁচ বছরে নিয়োগ হয়েছে প্রায় ৭১ হাজার। এসএসসি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালে ২০ হাজার ৮৮৭ জন, ২০০৮ সালে ১০ হাজার ৯৯৫ জন, ২০০৯ সালে ১২ হাজার ৯৩১ জন, ২০১০ সালে ১৩ হাজার ৬৭৭ জন এবং ২০১১ সালে ১১ হাজার ৭২৩ জন নিয়োগ পত্র পেয়েছেন শিক্ষকের পদে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *