লকডাউনেই চাকরি হারালেন ৮,৮৮২ শিক্ষক, মিলল মাত্র ৩৫ হাজার টাকা

লকডাউনেই চাকরি হারালেন ৮,৮৮২ শিক্ষক, মিলল মাত্র ৩৫ হাজার টাকা

আগরতলা: ২০১৮ সালে ত্রিপুরার বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১মার্চ ২০২০ পর্যন্ত শিক্ষকদের কর্মকালের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই অনুযায়ী অ্যাডহক ভিত্তিতে কর্মরত ৮,৮৮২ জন শিক্ষকের গত মঙ্গলবারই ছিল পদে বহাল থাকার শেষ দিন। সুতরাং এই আপৎকালীন পরিস্থিতির মধ্যেই চাকরি হারাতে হল তাঁদের। তবে এতজন শিক্ষকের চাকরি বাঁচাতে না পারলেও প্রত্যেককে ৩৫,০০০টাকা করে মাসিক ভাতা দেওয়া হবে বলে বৃহস্পতিবার পিটিআই-কে জানিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।

তিনি আরো বলেছেন মোট ১০,৩২৩ জন শিক্ষক ছিলেন এই তালিকায়। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ইতিমধ্যেই অন্য কাজে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু যে ৮,৮৮২ জন শিক্ষক এতদিন অ্যাডহকের ভিত্তিতে নিযুক্ত ছিলেন আগামী দিনে তাদের নন-টিচিং বিভাগে নিয়োগের আবেদন জানিয়ে একটি বিশেষ লিভ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। লকডাউনের জন্য ইমেইল করেই আবেদন জানানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট পরবর্তী রায় না জানানো পর্যন্ত শিক্ষকদের মাসিক ভাতা চালু থাকবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আদালত এবিষয়ে দ্রুত রায় ঘোষণা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ত্রিপুরায় বাম আমলে ২০১০সাল পর্যন্ত একাধিক পর্যায়ে নিযুক্ত আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, গ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট অন্তত ১০,৩২৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ ত্রুটিপূর্ণ বলে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ত্রিপুরা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়। এরপর ওই শিক্ষকদের চাকরিতে রাখা যাবেনা বলেই রায় দেয় উচ্চ আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে তৎকালীন বাম সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে হাইকোর্টের রায়কেই মান্যতা দেয় শীর্ষ আদালত। ২০১৭ সালের মার্চের এই রায়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের কার্যকালের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয় সে বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার ক্ষমতায় এলে নতুন করে আবেদন জানানো হয় শীর্ষ আদালতে। সেই রায়ের প্রেক্ষিতে এই শিক্ষকদের কার্যকালের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩১মার্চ ২০২০পর্যন্ত করা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 4 =