কলকাতা: বাড়ছে বেকারত্ব৷ তারপর রয়েছে নির্বাচন৷ বিহার ভোটের ফল প্রকাশ হতেই বুধবার রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের ছাড়পত্র দিল মন্ত্রিসভার৷ আগামী দু’মাসের মধ্যে রাজ্যে ১৬ হাজার ৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ রাজ্য পুলিশের ৩টি নতুন ব্যাটালিয়নে গড়ে অন্তত ৩ হাজার নিয়োগের সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ দীপাবলির আগে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা নতুন করে আশার আলো দেখছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ রাজ্যে নতুন করে সাড়ে ১৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হতে না হতেই কলেজে ২৫ হাজার শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের দাবি আরও জোরালো হয়েছে৷
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন টেটের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের কথা করছেন, তখন বালার ৪৫২টি কলেজে ২৫ হাজার শূন্য অধ্যাপকের পদে নিয়োগের আর্জি জানিয়ে চিঠি পাঠাল বিরোধী বাম-কংগ্রেস শিবির৷ বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে কলেজে অধ্যাপক নিয়োগের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন৷
মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে বাম-কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালে বিজ্ঞাপন দিয়ে বেশ কিছু কলেজের সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগের ঘোষণা হয়েছিল৷ পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ নেওয়ার পরও সফল প্রার্থীদের মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়৷ মেধাতালিকা প্রকাশের পরও প্যানেলভুক্ত সফল প্রার্থীদের নিয়োগ এখনও করেনি রাজ্য সরকার৷ ওই মেধাতালিকা অনুযায়ী নিয়োগ না হলেও অস্বচ্ছভাবে বহু অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করে অধ্যাপক শূন্যপদ পূরণের চেষ্টা করা হয়েছে৷ অস্থায়ীদের নিয়োগের জেরে যোগ্য প্রার্থীরা এখনও বঞ্চিত৷ স্বাভাবিকভাবেই নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা সফল প্রার্থীরা কলেজ সার্ভিস কমিশনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন৷ সফল প্রার্থীদের দাবি ন্যায্য৷ এই বিষয়ে দ্রুত মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেরও দাবি জানিয়েছে বাম-কংগ্রেস৷ কলেজগুলিতে ২৫ হাজার শূন্যপদ দ্রুত স্থায়ী নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে৷ বাম-কংগ্রেস শিবিরের দাবি, ১১ হাজার অধ্যাপককে দিয়ে বাংলার কলেজে পড়াশোনা চালানো হচ্ছে৷ তাতে পড়ুয়ারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ ২৫ হাজার শূন্যপদ পূরণ হলে একদিকে যেমন সফল প্রার্থীদের উপকার হবে, তমেনই সুবিধা হবে পড়ুয়াদের৷