কেন থমকে শিক্ষক নিয়োগ? মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে হবু শিক্ষকদের আর্জি

কেন থমকে শিক্ষক নিয়োগ? মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে হবু শিক্ষকদের আর্জি

a1fa7c70f04ffd0da5b3778c849a47ae

কলকাতা: করোনা আবহে ধীরে জীবনের স্বাভাবিক গতিতে ফিরছে৷ তবে লকডাউনের কয়েকমাসে দেশে বেকারত্বের সংখ্যা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে৷ সেক্ষেত্রে এতদিন যাঁরা চাকরির অপেক্ষায় রয়েছেন, তাঁরা ভবিষ্যৎ এখন বড়সড় প্রশ্নের সম্মুখীন৷ এদিকে সরকারি ক্ষেত্রে সমস্ত স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ থাকায় সরকারি ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যতও এখন প্রশ্নের মুখে৷ পরীক্ষা, নিয়োগ প্রক্রিয়া সবকিছুই অন্ধকারে৷ যেমন রাজ্যের আপার প্রাইমারি স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া৷ আইনি জটিলতায় যা বহুদিন স্থগিত রয়েছে৷  চলতি বছরের শুরুতে কলকাতা হাইকোর্টে দু’বার শুনানি হলেও তাতে কোনও সুরাহা হয়নি৷ ফলে, পরিস্থিতি কিছুটা স্বভাবিক হওয়ায় হাইকোর্টের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করে আপার প্রাইমারিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ চাকরিপ্রার্থীরা৷

আপার প্রাইমারি মেধা তালিকা ভুক্ত চাকরি পদপ্রার্থী এবং এসএসসি আপার প্রাইমারি মেরিট লিস্টেড ( মিডল অ্যান্ড লাস্ট জোন ক্যান্ডিডে) চাকরি পদপ্রার্থী ঐক্য মঞ্চ সহ পশ্চিম বঙ্গের সকল চাকরি পদপ্রার্থীদের তরফে একাধিক দাবি-সহ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে৷ বর্তমানে লকডাউন ও আমফনের প্রভাবে দুর্দশার সম্মুখীন চাকরি পদপ্রার্থীদের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দীর্ঘ ৭ বছর ধরে আপার প্রাইমারিতে কোনও নিয়োগ নেই৷ কমিশনের বিভিন্ন সমস্যার কারণে আপার প্রাইমারির নিয়োগ বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন অবস্থায় আছে৷ এদিকে করোনার প্রভাবে  লকডাউনের জেরে দীর্ঘ প্রায় ৩ মাস ধরে কলকাতা হাইকোর্টে আপার প্রাইমারি মামলার শুনানি স্থগিত রয়েছে৷

এক্ষেত্রে তাঁদের দাবিগুলি হল- কলকাতা হাইকোর্টে দ্রুত শুনানির ব্যাবস্থা সহ ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৭ বছরের বিষয় ও ক্যাটাগরি অনুযায়ী সিট আপডেট করতে হবে৷ নিউ সেট আপ স্কুলের ৫১০৮টি শূন্যপদ মূল শূন্যপদের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে৷ ২০১৬ সালে প্রকাশিত গেজেট অনুসরণ করে ১:১.৪ অনুপাতে বিষয় ও ক্যাটাগরি অনুযায়ী পদ দেওয়া হোক৷ টেট ওয়েটেজ সংশোধন করতে হবে৷ ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণকারী চাকরি পদপ্রার্থীদের তাঁদের নাম মেধা তালিকায় নেই, তাঁদের মেধা তালিকার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে৷ ২০১৭  সালের ৩ অক্টোবরের পর যাঁরা প্রশিক্ষণের শংসাপত্র কমিশনে জমা করে মেধা তালিকায় রয়েছেন, তাঁদের এই নিয়োগের আওতায় রাখা যাবে না৷ সংরক্ষিত ক্যাটাগরিতে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রার্থী না থাকলে প্রশিক্ষণ নেই এমন প্রার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *