কলকাতা: চাকরির আকাল বাজারেও উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের তথ্য যাচাই পর্বে গরহাজির বহু চাকরিপ্রার্থী৷ তৃতীয় দফার প্রথম পর্বের ভেরিফিকেশন পর্বে গরহাজির পরীক্ষার্থীদের নতুন করে সুযোগ দিতে চলেছে কমিশন৷ গত ৪ জুন তৃতীয় দফায় ভেরিফিকেশন পর্বে যাঁরা উপস্থিত থাকতে পারেননি, পরে একটি নির্দিষ্ট দিনে তাঁদের তথ্য যাচাই করানো হবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার৷
জানা গিয়েছে, ডাক পেয়েও চাকরি নিতে গরহাজির কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থীরা৷ কমিশন সূত্রে খবর উচ্চ প্রাথমিকে তৃতীয় দফার ভেরিফিকেশন পর্বে গরহাজি ৩ হাজার চাকরিপ্রার্থী৷ দ্বিতীয় দফার ভেরিফিকেশন পর্বে গরহাজি ছিলেন অন্তত ১৫০০ জন চাকরিপ্রার্থী৷ প্রথম পর্বে গরহাজির সংখ্যা সব থেকে বেশি৷ ডাক পেয়েও ভেরিফিকেশন পর্বে যাননি ৫ হাজার চাকরিপ্রার্থী৷ উচ্চ প্রাথমিকের টেট উত্তীর্ণের সংখ্যা প্রায় দু’লক্ষের কাছাকাছি৷ তার মধ্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণহীন, উভয় ধরনের প্রার্থীই আছেন৷
এর আগে একাদশ-দ্বাদশে প্রথম দফার নিয়োগে ১ হাজার ২০০’র বেশি প্রার্থী সফল হয়েও অনুপস্থিত ছিলেন৷ এদের অধিকাংশই চূড়ান্ত তালিকায় নাম উঠলেও কাউন্সেলিংয়ে হাজির হননি৷ নবম-দশমের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা প্রায় ১ হাজার ৮৬ জন৷ চাকরি নিতে অস্বীকার করেন ১৪১ জন৷ তিন দফায় কাউন্সেলিং হওয়ার পরও উচ্চ মাধ্যমিক মাধ্যমিকে যথাক্রমে ৪০০ ও ১৩০০ শূন্য পদ রয়ে গিয়েছে৷
উচ্চ প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের তথ্য যাচাই পর্ব শুরু হয়েছে গত ৪ জুন থেকে৷ মাঝে ৫ ও ৬ জুন ভেরিফিকেশন পর্ব বন্ধ ছিল ঈদের ছুটির কারণে৷ ফের ভেরিফিকেশন শুরু হওয়ার পর স্কুল সার্ভিস কমিশনের দ্বারস্থ হন গরহাজির থাকা বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী৷ কমিশনের এই সিদ্ধান্ত চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে৷ গরহাজির প্রার্থীদের কেন ডাকা হবে? এর পিছনে কী অন্যকোনও কৌশল রয়েছে, যাতে পিছনের দরজা দিয়ে নিয়োগ করানো যায়? সিঁদুরে মেঘের আশঙ্কা চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের৷