বিড়লার ‘দানে’ সম্মানিত কলকাতা পুলিশের ‘শবর পিতা’

কলকাতা: অবশেষে প্রত্যাশা পূরণ৷ সমাজের পিছিয়ে পড়া শবর সম্প্রদায়ের উন্নতিকরণে অসামান্য অবদানের বিড়লা গ্রুপের ‘দান’ উৎসবে সম্মানিত করা হল কলকাতা সাউথ ট্রাফিক গার্ডের কনস্টেবল অরূপ মুখার্জিকে৷ পুঞ্চা গ্রামে যিনি ‘শবর পিতা’ নামেই পরিচিত৷ মঙ্গলবার কলকাতার জিডি বিড়লা সভাঘরে তার হাতে তুলে দেওয়া হয় ১১ হাজার টাকার একটি চেক ও স্মারক৷ কলকাতা শহরে ব্যাস্ততম রাস্তায় ট্রাফিক

বিড়লার ‘দানে’ সম্মানিত কলকাতা পুলিশের ‘শবর পিতা’

কলকাতা: অবশেষে প্রত্যাশা পূরণ৷ সমাজের পিছিয়ে পড়া শবর সম্প্রদায়ের উন্নতিকরণে অসামান্য অবদানের বিড়লা গ্রুপের ‘দান’ উৎসবে সম্মানিত করা হল কলকাতা সাউথ ট্রাফিক গার্ডের কনস্টেবল অরূপ মুখার্জিকে৷ পুঞ্চা গ্রামে যিনি ‘শবর পিতা’ নামেই পরিচিত৷ মঙ্গলবার কলকাতার জিডি বিড়লা সভাঘরে তার হাতে তুলে দেওয়া হয় ১১ হাজার টাকার একটি চেক ও স্মারক৷

কলকাতা শহরে ব্যাস্ততম রাস্তায় ট্রাফিক সামলে, নিজের বেতনের একটা বড় অংশ খরচ করে, অরূপ বাবু অবলীলায় সামলে চলেছেন সুদুর পুরুলিয়ার পুঞ্চা গ্রামে তার নিজের প্রচেষ্টায় গড়ে তোলা ‘পুঞ্চা নবদিশা মডেল স্কুল’৷ তাঁর এই বিশাল কর্মকাণ্ডের জন্য এপর্যন্ত কোন সরকারি সম্মান না পেলেও অনগ্রসর শবরদের জন্য তার উদ্যোগকে সম্মানিত করেছে বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা৷

বিড়লার ‘দানে’ সম্মানিত কলকাতা পুলিশের ‘শবর পিতা’

৬০টি পুরস্কারের মধ্যে আছে ২০১৬ সালে ২৪ ঘণ্টা অনন্য সম্মান৷ ২০১৭ সালে ব্যাঙ্গালোর থেকে ২ টি সংস্থা ভারতের ‘বেস্ট সোশ্যাল অ্যাওয়ার্ড’ দিয়ে সম্মানিত করে৷ ২০১৮ সালে রাজস্থানের উদয়পুরের থেকে পেয়েছেন ‘টিচার ওয়ারিয়র অ্যাওয়ার্ড’৷ তাঁর পুরস্কারের ঝুলিতে আছে ‘টেলিগ্রাফ এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড’৷ এবছরই তাঁকে আরও ৪টি সংস্থা সম্মান জানিয়েছে সমাজকল্যাণমূলক কাজের জন্য৷

অরূপ বাবুর মতে, পুরস্কারের লোভে তিনি কাজ করেন না, তবে পুরস্কার পেলে মনে জোর বেড়ে যায়৷ কাজ করার ইচ্ছাটাও বেড়ে যায়৷ দারিদ্র, অশিক্ষা, কুসংস্কারের অন্ধকারে পড়ে থাকা পুরুলিয়ার পুঞ্চা গ্রামের শবর শিশুদের জন্য কনস্টেবল অরূপ বাবু তৈরি করেন ‘পুঞ্চা নবদিশা মডেল স্কুল’৷ মাত্র ১৫ জন পড়ুয়াকে নিয়ে শুরু হয় স্কুলটি ৷ এখন সংখ্যাটা ১২৫৷ শুধু পড়াশোনা নয় একইসঙ্গে তাদের থাকা, খাওয়ায় ব্যবস্থাও করেন তিনি৷

বিড়লার ‘দানে’ সম্মানিত কলকাতা পুলিশের ‘শবর পিতা’

স্কুলে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করানো হয়৷ এরপর যারা পঞ্চম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে তাদের জন্য এই স্কুলে থাকা, খাওয়া, প্রাইভেট টিউশন সহ পোশাক ও অন্যান্য যাবতীয় জিনিসপত্র দেওয়া হয়৷ স্কুলে ৭ জন শিক্ষক, এক জন রাঁধুনি, বাচ্চাদের দেখভাল করার জন্য একজন এবং এক জন নাইট গার্ড আছেন ৷ এরা সকলেই বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 + 6 =