অনশনে ৪ দিনেও জোটেনি অ্যাম্বুলেন্স, আদালতে যাচ্ছেন পার্শ্ব শিক্ষকরা

কলকাতা: চূড়ান্ত অচলাবস্থা৷ একদিকে শীতের কামড়, মাথার উপর শিশির, অন্যদিকে লাগামছাড়া মশার দাপট৷ একাধিক প্রতিকূলতাকে জয় করে টানা এক ৮ দিন ধরে নিজেদের অধিকারের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পার্শ্ব শিক্ষকদের একাংশ৷ এই নিয়ে ৪ দিনে পড়ল শিক্ষকদের অনশন৷ কিন্তু অনশনে জুটল না একটি অ্যাম্বুলেন্সও৷ মিলল না পানীয় জল৷ শৌচালয় তো দূরের কথা৷ নেই রাজ্যের বাসিন্দা

377e350941ab43faa3a3e9c143a5d1fd

অনশনে ৪ দিনেও জোটেনি অ্যাম্বুলেন্স, আদালতে যাচ্ছেন পার্শ্ব শিক্ষকরা

কলকাতা: চূড়ান্ত অচলাবস্থা৷ একদিকে শীতের কামড়, মাথার উপর শিশির, অন্যদিকে লাগামছাড়া মশার দাপট৷ একাধিক প্রতিকূলতাকে জয় করে টানা এক ৮ দিন ধরে নিজেদের অধিকারের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পার্শ্ব শিক্ষকদের একাংশ৷ এই নিয়ে ৪ দিনে পড়ল শিক্ষকদের অনশন৷ কিন্তু অনশনে জুটল না একটি অ্যাম্বুলেন্সও৷

মিলল না পানীয় জল৷ শৌচালয় তো দূরের কথা৷ নেই রাজ্যের বাসিন্দা হয়েই এখন বেঁচে থাকার যুদ্ধ চালাচ্ছেন পার্শ্ব শিক্ষকদের একাংশ৷ অনশনে অসুস্থ শিক্ষকদের অটোয় চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে৷ আর পরিস্থিতির বিরুদ্ধে ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চ৷

পার্শ্ব শিক্ষকদেক সংঘঠনের ডাকে সল্টলেকের বিকাশ ভবনের অদূরে জমায়েত করে রেখেছেন হাজার পাঁচেক শিক্ষক৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিনিয়ে এনে নিজেদের অধিকারের লড়াইয়ে নেমেছেন তাঁরা৷ চলছে অনশন কর্মসূচি৷ অনশন কর্মসূচি শুরু হলেও ভ্রুক্ষেপহীন প্রশাসন! প্রায় হাজার পাঁচেক অবস্থানরত শিক্ষকদের জন্য নূন্যতম বন্দোবস্ত করা যায়নি৷

শৌচাগার থেকে শুরু করে পানীয় জল, চূড়ান্ত হাহাকার দেখা গিয়েছে তৈরি হয়েছে পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের অবস্থান বিক্ষোভ মঞ্চে৷ তবুও চলছে অনশন৷ আজ ৪ দিনের অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৭ জন শিক্ষক৷ অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে অটোয় তুলে তাঁদের ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে৷ পরে অটো ভাড়া করে ৬ জনকে সুস্থ করে অনশন মঞ্চে ফিরিয়ে আনা হয়৷ আরও একজন শিক্ষকের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে৷ কিন্তু, ৪ দিনের অনশনের পরও কেন একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখল না প্রশাসন? কেন পানীয় জল কিনে খেতে হচ্ছে? পুরসভার তরফে কি একটি জলের গাড়ির ব্যবস্থা করা যেত না? আট দিন ধরে প্রায় হাজার পাঁচেক শিক্ষক-শিক্ষাদের জন্য শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা গেল না? কেন শৌচালয়ের জন্য ভাড়ার টাকা গুনতে হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ৷

বলেন, ‘‘অনশন চালাতে গিয়ে ৪০ জনের জন্য ৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে৷ আরও বেশ কয়েকজন অসুস্থ৷ খুব দুর্বল হয়েছে পড়েছেন তাঁরা৷ এখনও পর্যন্ত আমাদের জল, শৌচালয় ভাড়া নিতে হচ্ছে টাকা বিনিময়ে৷ অনশনরত শিক্ষকদের জন্য একটিও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা যায়নি৷ প্রচুর টাকা জল, খাবার প্রতিদিন কিনতে হচ্ছে৷ প্রচুর লোক রাতে থাকছেন৷ তাঁদের সবার খাবার জোগাড় করে গিয়ে অর্থ সংকটে পড়েছি৷ পরিস্থিতি এমন, অনশনরত শিক্ষকরা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁদের অটোয় তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে হচ্ছে৷ প্রশাসন কি একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিতে পারত না? এর বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে আবেদন জানাব৷’’

তাঁর আরও দাবি, ‘‘আমরা কার্যত প্রতিদিন অনশনে থাকতে বাধ্য হচ্ছি৷ কারণ, গত দু’বছরে ১০৪ জন পার্শ্বশিক্ষক অনাহারে, বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে৷ অনেক সময় আমাদের খাওয়া জোটে না৷ বেতন পাই মাত্র ৮৮০০টাকা৷ তাতে কি সংসার চলে? আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রতিদিন মরার থেকে একবারে এই অনশন মঞ্চ থেকেই মৃত্যুর কাছে চলে যাব, যতক্ষণ না পর্যন্ত দাবি পূরণ হয়৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *