শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির প্রতিবাদ-সহ একগুচ্ছ দাবিতে পথে নেমে সমস্যা সমাধানের ডাক এসএসসি যুবছাত্র অধিকার মঞ্চ৷ শ্রমিক সংগঠনের ডাকা দু’দিনের বনধকে সমর্থ জানিয়ে আগামী মঙ্গল ও বুধবার রাজ্য অচল করার ডাকও দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ কমিশন ও রাজ্য সরকারের নিয়োগ ‘প্রতারনা’ বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে পোষ্টারিংয়ের কাজ প্রায় শেষ৷ চলছে প্রচার৷ কমিশন ও রাজ্যকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ১০ দফা দাবিও জানানো হয়েছে৷ ঠিক কোন কোন দাবির ভিত্তিতে এই মন্তব্য?
এসএসসি যুবছাত্র অধিকার মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, আপটুডেট ভ্যাকেন্সিতে নিয়োগের মাধ্যমে ছ’বছরের নিয়োগ ঘাটতি পূরণের দাবি, দুর্নীতি মুক্ত নিয়োগের দাবি, ছাত্র শিক্ষক অনুপাত মেনে প্রতি বছর ধারাবাহিক এসএসসি’র নিয়োগের দাবি, সমস্ত (নবম-দ্বাদশ) কাউন্সেলিং দ্রুত সম্পন্ন করে জয়েনিংয়ের দাবিও তোলা হয়েছে৷ এছাড়াও, পঞ্চম থেকে দ্বাদশস্তরে ওয়ার্ক ও ফিজিক্যাল নিয়োগ স্বচ্ছ ভাবে দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি, শিক্ষক নিয়োগে রাষ্ট্রীয় টালবাহানা ও শিক্ষক নিয়োগের আন্দোলনে রাষ্ট্রীয় হিংসার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে৷ শিক্ষার বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে ও সরকারি স্কুল অনৈতিকভাবে বন্ধ করার বিরুদ্ধেও দাবি জানানো হয়েছে৷ শিক্ষক নিয়োগে নেতা মন্ত্রীদের কোটা বাতিল, গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ অবৈতনিক শিক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থার দাবি ও শিক্ষাঙ্গনে শাসকদলের ও তাদের ছাত্র সংগঠনগুলির অরাজকতা ও অর্থ লোলুপতার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে৷
এদিনের এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে এসএসসি যুবছাত্র অধিকার মঞ্চের সদস্য মেহেবুব মণ্ডল বলেন, ‘‘কেউ শ্রম বিক্রি করে, কেউ মেধা! কেউবা শ্রমমেধা দুই বিনিয়োগ করে জীবিকা নির্বাহ করেন৷ যে সরকার বছরের পর বছর জীবিকা প্রদানে কৃপন্যতা করেছে, দুর্নীতি করে প্রকৃত শ্রমিকের পরিবর্তে টাকার বিনিময়ে অথবা তাদের নিজের দলিয় ব্যক্তিদের জীবিকা মুখি করেছে, তাঁদের এই কর্মহীন মনোবৃত্তি তাদেরই উপহার দেব ৮-৯ তারিখের ধর্মঘট৷ ভাঙা দালালদের এটা বুঝিয়ে দেব, বছরের পর বছর পর্যপ্ত শিক্ষাক নিয়োগ না করে স্কুলগুলোকে বন্ধ করার বিরুদ্ধে দেশ গড়ার কারিগরি শিক্ষকরাও তাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছে৷ আর শিক্ষক তাদের বিরুদ্ধে গেলে দেশ তাদের বিরুদ্ধে যাবে যতয় তারা লেঠেল পুষে রাখুক কলম অস্ত্রের থেকে তা শক্তিশালী নয় সুতরাং ব্যালট বুলেট সবেতেই তারা পরাস্ত হবে৷’’